banner

SLIDE BAR

Image Slider By nurmonyitworld.net.ms NUR-MONY IT WORLD ENG.KAMRUL HASAN IFAZ. ''প্রযুক্তিকে ভালবাসুন।প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”

হেডলাইন

WELCOME TO OUR BLOG SITE.IF U LIKE OUR BLOG PLEASE SHEAR UR FRIENDS.Email us to inform about our wrong information. to inform about product price and specification, to inform about new product in the market, to inform that what you want to know?THANKS VISIT OUR BLOGSITE

১৫ জুলাই, ২০১৩

সহজ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং

            **********বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম**********
          ((((((((((লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ))))))))))
             শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু


pσst вч єng.kαmrul hαsαn ífαz




খুব সহজেই আমরা ছোট অফিস, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান কিংবা আমাদের বাসায় নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে অনেকগুলো কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত টেলিভিশন, কিংবা ওয়াইফাই সমৃদ্ধ স্মার্টফোনে তথ্য আদান-প্রদান, ইন্টারনেট কানেকশান শেয়ারিং কিংবা প্রিন্টিং, স্ক্যানিং, ফ্যাক্স এর কাজগুলো সেরে নিতে পারি।
Ethernet Cableচিত্রঃ ইথারনেট ক্যাবল
দুটো কম্পিউটারের মধ্যে ক্যাবল নেটওয়ার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার করার জন্য একটা ইথারনেট ক্যাবলই যথেষ্ট। এ ক্যাবলের আরো অনেক নাম আছে যেমন
– ক্যাট ফাইভ, ক্যাট সিক্স, নেটওয়ার্ক ক্যাবল, আনশিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ইত্যাদি। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে এই ইথারনেট ক্যাবলের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক স্থাপন করা। যেকোন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার দোকানেই এই ক্যাবল পাওয়া যায়। প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যাবল কিনে ক্যাবলের দুই প্রান্তে RJ-45 কানেক্টর লাগিয়ে দিন। RJ-45 কানেক্টর লাগানো কিছুটা ঝক্কি ঝামেলার। এ ক্ষেত্রে দোকানদারকে বললে সাহায্য পাবেন। এটি আসলে সাধারণ টেলিফোন লাইনের দুইপ্রান্তে লাগানো সকেট ছাড়া আর কিছু না। যাহোক, এরপর কানেক্টর দুটো আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ডে সংযোগ দিন। ব্যস, দুটো কম্পিউটারের মাঝে এভাবেই খুব সহজে নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে পারেন।

RJ-45 লাগানোর পদ্ধতি
ইথারনেট ক্যাবল কাটলে ভিতরে চারটি ভিন্ন রঙের (কমলা, সবুজ, নীল, বাদামি) আটটা ক্যাবল দেখতে পাবেন। প্রত্যেক রঙের একটি স্ট্রাইপড আরেকটি সলিড কালারের ক্যাবল থাকে।  ক্যাবলের প্লাস্টিক প্রয়োজন অনুযায়ী কেটে নিয়ে 568A অথবা 568B স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতিতে সাজান। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, প্রত্যেকটা ক্যাবলের উভয়প্রান্তে একইরকম স্ট্যান্ডার্ড হওয়া বাঞ্চনীয়। প্রয়োজনে নিচের চিত্রগুলো দেখুন।
RJ-45
568A
RJ-45
568A Wire Order
568B
Ethernet-Cable
568B Wire Order
Ethernet Cable
যদি দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মাঝে ইন্টারনেট কানেকশান, প্রিন্টিং কিংবা অন্য যেকোন কাজের জন্য ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হয় তবে এজন্য আপনার দরকার হবে প্রয়োজনমত ইথারনেট ক্যাবল আর একটা রাউটার। সাধারণতঃ একটা রাউটারে একটা ইন্টারনেট সংযোগের সকেট আরো চারটা কম্পিউটার সংযোগের সকেট থাকে। এক্ষেত্রে কোনটা ইন্টারনেট সংযোগের জন্য আর কোনটা কম্পিউটার সংযোগের জন্য তা রাউটারে স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকে। যথারীতি ক্যাবল সংযুক্ত করুন এবং তৈরি করুন নিজেই নিজের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
Ethernet-Router
চিত্রঃ ইথারনেট রাউটার
উল্লেখ্য, আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার আপনাকে যে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকে তার পিছনে একটি ইউনিক আইপি এড্রেস (যেমনঃ ১০.২১.১২৪.১২০) কাজ করে, যেটা আপনার সংযোগকে চিনতে সাহায্য করে থাকে। আর আপনি যখন ইন্টারনেট সংযোগটাকে রাউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পিউটারে সংযোগ করবেন, তখন আপনার রাউটার আভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে নিজের জন্য আরেকটা আইপি (যেমন ১৯২.১৬৮.১.১) তৈরি করে। এছাড়া প্রত্যেকটি কম্পিউটারও আলাদা আলাদা আইপি (যেমন ১৯২.১৬৮.১.১০১, ১৯২.১৬৮.১.১০২ ইত্যাদি) স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাউটার থেকে পেয়ে থাকে। কম্পিউটারের সংখ্যা যদি রাউটারের পোর্টসংখ্যা ছাড়িয়ে যায় তবে আপনার প্রয়োজন হবে একটি সুইচ। সুইচ আমাদের বিদ্যুত সরবরাহের মাল্টিপ্লাগের মত দেখতে। এক্ষেত্রে রাউটার থেকে একটি ক্যাবল এনে সুইচে লাগিয়ে দিন আর সুইচের বাকি পোর্টগুলোতে আপনার অবশিষ্ট কম্পিউটারগুলো সংযোগ প্রদান করুন।
Ethernet-Switch
চিত্রঃ  ইথারনেট সুইচ

সাধারণতঃ ক্যাবল নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে ইথারনেট ক্যাবল সংযোগ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে যায়। তবে আপনি চাইলে আপনার রাউটারের আইপি এড্রেস এর মাধ্যমে আপনার ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি বাড়িয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারে গিয়ে আপনার রাউটারের আইপি এড্রেস টাইপ করুন এবং এন্টার চাপুন। রাউটার ক্রয়ের সময়ে ম্যানুফ্যাকচার প্রদত্ত ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড দিন এবং এন্টার চাপুন। ম্যানুফ্যাকচারভেদে আইপি এড্রেস এবং এডমিন প্যানেলে প্রবেশ পদ্ধতি ভিন্ন হয়। তাই নেটওয়ার্কিং এর অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে ম্যানুফ্যাকচার প্রদত্ত ম্যানুয়ালটির সহায়তা নিন।
Wireless-Router
চিত্রঃ ওয়্যারলেস রাউটার
আপনি যদি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চান, তাহলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ওয়্যারলেস রাউটার। সাধারণ রাউটার থেকে এ ধরণের রাউটারের পার্থক্য সহজেই লক্ষ্যনীয়। সাধারণতঃ ওয়্যারলেস রাউটারের দু’পাশে দুটো এন্টেনা ঝুলানো থাকে এবং এ ধরণের রাউটারেও ক্যাবল নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য ৪-৫ টা সকেট থাকে। তবে এ ধরণের রাউটারের দাম সাধারণ রাউটারের চেয়ে বেশি হয় এবং কিন্তু ওয়্যারলেস সংযোগে তুলনামূলকভাবে স্পীড অনেক কম হয়। একটি ভাল মানের ক্যাবল নেটওয়ার্ক রাউটারের স্পীড যেখানে ১ গিগাবিট পার সেকেন্ড পর্যন্ত হয়, সেখানে সবচেয়ে ভাল ওয়্যারলেস রাউটারের স্পীড সর্বোচ্চ ৩০০ মেগাবিট পার সেকেন্ড, যদিও এর অর্ধেক স্পীড পাওয়াও কষ্টকর ফ্রিকোয়েন্সি উঠা নামার কারণে। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং পদ্ধতিটাও তুলনামূলকভাবে জটিল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সিকিউরিটি না থাকলে নেটওয়ার্ক হ্যাকও হতে পারে। ক্যাবল নেটওয়ার্কিং আর ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং স্থাপনের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তবে একেক ম্যানুফ্যাকচারের নেটওয়ার্ক কানেকশান পদ্ধতি একেক রকম হওয়ায় এত ক্ষুদ্র পরিসরে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে বিস্তারিত বলা সম্ভব হল না। ওয়্যারলেস রাউটারের সাথে যে ম্যানুয়ালটি পাওয়া যায় তাতে এ নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা থাকবে। তাই এ ধরণের নেটওয়ার্ক তৈরিতে ম্যানুফ্যাকচার প্রদত্ত ম্যানুয়ালটির সহায়তা নিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

“প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”

join fb

Join Me On Facebook
^ Back to Top