banner

SLIDE BAR

Image Slider By nurmonyitworld.net.ms NUR-MONY IT WORLD ENG.KAMRUL HASAN IFAZ. ''প্রযুক্তিকে ভালবাসুন।প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”

হেডলাইন

WELCOME TO OUR BLOG SITE.IF U LIKE OUR BLOG PLEASE SHEAR UR FRIENDS.Email us to inform about our wrong information. to inform about product price and specification, to inform about new product in the market, to inform that what you want to know?THANKS VISIT OUR BLOGSITE
ফরেক্স লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফরেক্স লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

১১ জানুয়ারী, ২০১৩

প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব -৭] (টেকনিক্যাল এনালাইসিস, চার্ট/ট্রেন্ড, সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স)

টেকনিক্যাল এনালাইসিসঃ

হল বিগত দিনের মার্কেট চার্ট পড়ে পরবর্তী মার্কেট মুভমেন্ট কি হতে পারে তা বের করার বা বোঝার একটি পদ্ধতি। ইহা হল বিভিন্ন চার্ট , ট্রেডিং টুল এবং মার্কেট তথ্যর উপর ভিত্তি করে  ভবিষ্যৎ মার্কেট মুভমেন্ট কি হবে তার একটি সহজ সার্বজনীন ট্রেডিং পদ্ধতি। এতে করে ট্রেডাররা পূর্বের মার্কেট ডাটা এনালাইসিস করে পরবর্তী ট্রেড করতে পারে। বিশ্বের সব ট্রেডারদের কাছে এই পদ্ধতিটি খুবই জনপ্রিয় । কেউ কেউ এই পদ্ধতিকে ট্রেড উইথ হিস্টরিকেল ডাটা বলে থাকে। বিষয়টা আসলে আমাদের পরীক্ষায় প্রস্তুতি সরূপ, বিগত বছরের প্রশ্ন অনুসারে পরবর্তী বছরের পরীক্ষার জন্য রেডি হওয়া বা পরীক্ষা দেওয়াটা যেমন ভালো ফলাফলের একটি সহজ পদ্ধতি, টেকনিক্যাল এনালাইসিস ও  ট্রেডারদের কাছে এমন একটি ট্রেডিং হাতিয়ার। আশা করি এতক্ষণের আলোচনায় টেকনিক্যাল এনালাইসিস ধারনাটা পেয়ে গেছেন।

টেকনিক্যাল এনালাইসিস ৩ টি বিশেষ নীতির মাধ্যমে কাজ করে থাকে।
১। মার্কেট অ্যাকশনঃ
২। ট্রেন্ড এ প্রাইস মুভমেন্ট
৩। ইতিহাস পুনরাবৃত্তি
 চার্টঃ

টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর ৩ টি জনপ্রিয় চার্ট হলঃ
১। লাইন চার্ট
২। বার চার্ট
৩। ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট
তারমধ্যে ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট বেশির ভাগ ট্রেডারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। আমরা ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট নিয়েই আলোচনা করবো। জাপানিস রাইস ট্রেডার Homma’r  কাছ থেকে ক্যান্ডেলস্টিক ধারণাটি ফরেক্স মার্কেটে আসে। যা লম্বালম্বি ভাবে উভয় দিকে একটি রেখা (Stick) সহ  ব্লক এর মাধ্যমে অঙ্কিত একটা ক্যান্ডেল এর মত দেখতে তাই এর নাম করন ক্যান্ডেলস্টিক। এই চার্ট টাইপ এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি দিনের বা ভিন্ন ভিন্ন সময়ের মার্কেট প্রাইস তথা ওপেন, ক্লোজ, হাই এবং লো ইত্যাদি দেখা যায়। এই ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট অনেক রুপের মাধ্যমে অনেক ধরণের মার্কেট মভমেন্ট ডিরেকশন দেয়।

ট্রেন্ডঃ

হল মার্কেটের একটি স্বস্বাভাবিক গতিবিধি (মুভমেন্ট), একটি মার্কেট ট্রেন্ড কখনো স্ট্রেইট (সোজাসুজি) গতিতে চলে না। মার্কেট সব সময় প্রগতিশীল অর্থাৎ কখনো ঊর্ধ্বমুখী বা কখনো নিম্নমুখী এবং মাঝে মাঝে সমান্তরাল। যদি প্রত্যেক ক্রমানুযায়ী আপ মুভমেন্ট আগের নিম্নমুখী ট্রেন্ডের আরো নিচের দিকে মোড় নিতে শুরু করে তখন মার্কেট এর নিম্নক্রম প্রবনতা বলে ধরা যায়। আবার প্রত্যেক ক্রমানুযায়ী ডাউন মুভমেন্ট আগের ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডের আরো উপরের দিকে মোড় নিতে শুরু করে তখন মার্কেট এর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বলে ধরে নেওয়া হয়। এটাই আসলে মার্কেটের প্রকৃত চিত্র।
 সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্সঃ

টেকনিকেল এনালাইসিস এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মৌলিক ধারণা হল সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস। অর্থনীতির ভাষায় মার্কেটের চাহিদা এবং যোগানের দুটি মিলিত পয়েন্ট হচ্ছে এই  সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস । ফরেক্স মার্কেট যেহেতু অর্থনির্ভর একটি মার্কেট তাই এই ধারণাটি এখানে বেশ মূল্যবান। সঠিক সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স নির্ধারণ এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কখন ট্রেডে ডুকবেন এবং কখন ট্রেড থেকে বের হবেন এবং কি পরিমান লাভ করবেন কিংবা লস হলেও তা কি পরিমান। অর্থাৎ ট্রেন্ড এনালাইসিস এর মাধ্যমে সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস লেভেল নির্ধারণের মাধ্যমে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন এবং ট্রেড ক্লোজ করতে পারবেন।
 সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স লেভেল নির্ধারণঃ

সাপোর্ট এন্ড রেসিসটেন্স সবসময় পরিবর্তনশীল কতগুলো লেভেল, যা কখনো একটি লেভেলে স্থির থাকে না। উপরের চিত্রে লক্ষ্য করুন, আপট্রেন্ড মার্কেটের  প্রত্যেকটি সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে এক একটি রেসিসটেনস লেভেল এবং ডাউন ট্রেন্ডের সর্বনিম্ন প্রত্যেকটি পয়েন্টই হচ্ছে এক একটি  সাপোর্ট লেভেল।
আপ মার্কেট ট্রেন্ডে পূর্ববর্তী রেসিসটেনস ব্রেক করলে পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল রেসিসটেনস হিসেবে কাজ করে আবার ডাউন ট্রেন্ড মার্কেটে পূর্ববর্তী সাপোর্ট ব্রেক করলে পরবর্তী রেসিসটেনস লেভেল সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।
সাপোর্ট যখন ব্রেক করে প্রাইস তখন আরো কমতে থাকে এই অবস্থায় সেল ট্রেড করে প্রফিট করা যায় আবার রেসিসটেনস যখন ব্রেক করে পাইস তখন আরো  বাড়তে থাকে ওই অবস্থায় বায় ট্রেড করে প্রফিট করা যায়।
আর সাপোর্ট যখন ব্রেক না করে টাচ করে তখন বায় ট্রেড করে প্রফিট করা যায় এবং রেসিসটেনস যখন ব্রেক না করে টাচ করে তখন সেল ট্রেড করা যায়। এই ধরনের ট্রেডকে সুয়িং ট্রেড বলা হয়। অর্থাৎ সুযোগ সন্ধানী ট্রেড ।

রেঞ্জবাউন্ড ট্রেডিং:

যখন একটি নির্দিষ্ট বাউন্ডারি বা এরিয়ার ভেতর মার্কেট মভমেন্ট তথা ট্রেডিং পরিচালিত হয় তাকে রেঞ্জবাউন্ড টেডিং বলে। মূলত ৮০% সময়ে এ সিস্টেমে মার্কেট পরিচালিত হতে দেখা যায়। কারন সবসময় মার্কেট ভলাটিলিটি হাই থাকে না। রেঞ্জবাউন্ড ট্রেডিং অনেক ট্রেডারদের কাছে খুব্ই জনপ্রিয় একটি মেথড। এই পদ্ধতিতে ট্রেডারকে অবশ্যই ট্রেডিং রেঞ্জ এরিয়া অর্থাৎ দুটি এক্সট্রিম ট্রেডিং লেভেল(সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস) বুঝতে হবে।
উপরের চিত্রটি খেয়াল করুন মার্কেট একটি নির্দিষ্ট এরিয়া অর্থাৎ একটি স্ট্রং সাপোর্ট অ্যান্ড রেসিসটেনস এর মধ্যে বাউনসিং করছে। সাধারণত মার্কেট একটি হাই ভলাটিলিটি শেষে এই ধরণের রেঞ্জে মুভ করতে থাকে। অথবা মার্কেটে যদি কোন স্ট্রং প্রেসার না থাকে তখনও এই ধরণের রেঞ্জিং দেখা যায়।
মার্কেট মুভমেন্ট যখন কোন সাপোর্ট বা রেসিসটেনস লেভেল ব্রেক করতে পারে না তখন এই পদ্ধতিতে আপনি বায় অর্ডার করতে পারেন যখন প্রাইস সাপোর্ট লেভেল এর কাছাকাছি এবং সেল করতে পারেন যখন প্রাইস রেসিসটেনস লেভেল এর কাছাকাছি। সাপোর্ট লেভেল এর নিচে এবং রেসিসটেনস লেভেল এর উপরে ১৫-২০ পিপস স্টপ লস সেট করবেন এবং প্রফিট নিতে পারেন ৩০ পিপস এর মত। অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় ৩-৪টি সাপোর্ট এবং রেসিসটেনস বাউনসিং এর পরে তা ব্রেক করে তাই সতর্ক থাকবেন।

প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব -৬] (ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস: ইকোনমিক ক্যালেন্ডার )

ইকোনমিক ক্যালেন্ডারঃ

হল বিভিন্ন ঘটনা নির্ণয়ে মার্কেট মুভিং এর সম্ভব্য প্রতিফলন বা ফলাফল তথ্য । এই ক্যালেন্ডারে সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোন ইভেন্টের ইফেক্ট কি হয় এবং হতে পারে তার একটি রিপোর্ট প্রদান করে। যা দেখে ট্রেডাররা বুঝতে পারে যে পরবর্তী মার্কেট ট্রেন্ড কি হতে পারে এবং সে অনুযায়ী তারা মার্কেটে প্রবেশ করে। এই ক্যালেন্ডারে সময় সময়ের বিশ্বব্যাপী ভিবিন্ন ইভেন্টের ফোরকাস্ট করা হয়।
ইকোনমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করেন অভিজ্ঞ ইকোনমিস্টসরা, পূর্ববর্তী মাসের ডাটা নিয়ে ফিউচার মার্কেট মুভমেন্ট এর একটি ফোরকাস্ট প্রদান করা হয় এই ডাটায়।
ইকোনমিক ক্যালেন্ডারের মূল পয়েন্টগুলো হলঃ



   Date — Time — Currency — Data Released — Actual — Forecast — Previous



কিভাবে ইকোনমিক ক্যালেন্ডার রীড করবেন ?

আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে কারেন্সি নিয়ে ট্রেড শুরু করতে যাচ্ছেন সে সময়ে  ঐ কারেন্সি’র কোন হাই ইম্পেক্ট আছে কিনা, একচুয়াল নিউজ রিলিসের সময় মার্কেট অনেক বেশি ভলাটাইল থাকে। আর মার্কেট ভলাটিলিটি স্ট্রেনথ নির্ভর করে রিলিস নিউজটি কতটা চমকপ্রদ তার উপর। ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ নিউজটি চমকপ্রদ থাকে(Factor of Surprised)যেখানে ট্রেডাররা একচুয়াল রিলিস ডাটার সাথে ফোরকাস্ট কমপেয়ার করে। মিডিয়াম ইমপেক্ট ডাটা একটি হাই ইম্পেক্টে যাওয়া পর্যন্ত বিবেচনায় রাখতে পারেন। এবং বেশির ভাগ সময়ে লো ইম্পেক্ট ডাটা ফরেক্স মার্কেটে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করে না।
Previous: ফরেক্স ক্যালেন্ডারের প্রিভিয়াস কলাম লাস্ট রিলিস ডাটা প্রকাশ করে।
Forecast: ডাটা নির্দেশ করে ইকোনমিস্টসদের মার্কেট প্রিডিকশনে আজকের মার্কেট মুভমেন্ট বা মার্কেট ইম্পকেট রেইট কেমন।
Actual: এবং সর্বশেষ একচুয়াল ডাটা আপডেট করা হয়। নিউজ রিলিসের সাথে সাথে মুহূর্তের মধ্যে ফোরকাস্ট ভেলুর সাথে কম্পেয়ার করা হয়। তারপর উক্ত ডাটার পজেটিভনেস এবং নেগেটিভনেস বিচার করে কোন কারেন্সিকে কতটুকু ইম্পেক্ট করছে তা নিশিত করা হয়। এবং ফাইনালি ট্রেডাররা সেই ইকোনমিক ডাটা নিয়ে ট্রেডে প্রবেশ করে যার যার এনালাইসিস এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে।
আসুন এইবার একটি ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দেখি কিভাবে আপনি এই ক্যালেন্ডার এর মাধ্যমে মার্কেট পাওয়ার বুঝবেন এবং এতক্ষণের আলোচনার বাস্তব প্রমান দেখবেন।  উদহারন হিসেবে আমি  www.forexfactory.com ব্যাবহার করছি কারন এই সাইটটিতে ডাটা প্রেজেন্টেশন খুব সুন্দর ভাবে করা হয়েছে সাথে অনন্যা সুবিধাও সাইটটিকে করেছে আরো ইফেক্টিভ।
সাইটে প্রবেশ করে ক্যালেন্ডার ট্যাব ক্লিক করলে নিচের চিত্রটি দেখবেন।


ডেইট এবং টাইম অনুসারে ঐ দিনের কারেন্সি ইমপ্যাক্ট টাইটেলড করা হয়েছে ডিটেইলস, একচুয়াল, ফোরকাস্ট, প্রিভিয়াস এবং গ্রাফ আর মাধ্যমে। তার আগে আপনাকে আপনার কম্পিউটারের ঘড়ির সাথে এই ওয়েব সাইটের ঘড়ির টাইমটা সেট করে নিতে হবে যাতে করে আপনি যে রিজিওন এ আছেন সেই রিজিওন আর টাইম অনুসারে নিউজগুলো পান, সে জন্য উপরের অংশে টাইমে সিলেক্ট করুন।


এরপর , বাংলাদেশের সাথে সময় মেলানোর জন্য Almaty, Dhaka, Colombo

টাইমজোন থেকে বাংলাদেশ টাইমজোন অর্থাৎ GMT+6 সিলেক্ট করুন এবং DST অফ করে Save Changes এ ক্লিক করে আবার ক্যালেন্ডারে চলে আসুন।

আপনি যখন ক্যালেন্ডারে প্রবেশ করবেন তখনকার সময়ের বা তার পরবর্তী যে কারেন্সিতে কোন ইমপ্যাক্ট থাকবে তা Impact  কলামে ৩টি ভিন্ন কালার আর মাধ্যমে প্রকাশ করবে। যেমনঃ
RED Color = High Impact
Light Orange Color = Medium Impact
 Yellow Color = Low Impact
অর্থাৎ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন কালার তিন লেভেলের ইমপ্যাক্ট এর আশা করছে ঐ সময়ে মার্কেট নিউজ প্রকাশের উপর। তাহলে আপনি যে কারেন্সি নিয়ে ট্রেড করার আশা করছেন তার ইমপ্যাক্ট কি তার ডিটেইলস দেখে নিয়ে ট্রেড করতে পারেন। কারেন্সি ইমপ্যাক্ট ডিটেইলস এর জন্য ঐ কারেন্সির Open Details এ ক্লিক করুন। নিচের চিত্রের মত আসবে…

এখানে ঐ কারেন্সির ভিবিন্ন ফ্লো ডিটেইলস ইনফরমেশন দেখাচ্ছে এবং খেয়াল করুন, Usual Effect কলামে একটি মেইজারমেন্ট দেখাচ্ছে, Actual >  forcast = Good for Currency; এর মানে হল ফোরকাস্ট ভেলুর চেয়ে যদি Actual বেশি হয় তাহলে তা ঐ কারেন্সির জন্য ভালো।
এইবার নিচের চিত্রটি খেয়াল করুন।

তাহলে USD কারেন্সিতে যখন নিউজটি প্রকাশ হয় তখন Forecast করা হয়েছিল -44.28 কিন্তু পরে দেখা গেল তা Actual এসেছে -42.08 তার মানে এই নিউজে USD কারেন্সির জন্য যে রুপ আশা করা হয়েছিল তা হয় নি। কারন Forecast এর চেয়ে Actual খারাপ এসেছে। আর Previous হিসেবে যে ভেলুটি দেখতে পাচ্ছেন তা হল ঐ নিউজের বিগত দিনের Actual ভেলু।


ফরেক্স ব্রোকার সহ ফরেক্স বিষয়ক ভিবিন্ন ওয়েবসাইটে নানামুখী ফরেক্স ইনফরমেশন পাওয়া যায় সেইজন্য প্রয়োজন নিয়মিত ভাবে ঐ সব সাইট ভিজিট করা এবং বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়া। যাহোক এখন তেমন একটি সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যেখানে ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল বেসিস এনালাইসিসে Daily ফোরকাস্ট সহ Weekly ফোরকাস্ট এর মাধ্যমে আপনাকে সব সময় ফরেক্স মার্কেট এর সাথে আপডেট রাখবে।
www.forexcrunch.com  এ গিয়ে Daily মেন্যু থেকে EUR/USD Daily ক্লিক করুন।
 এখানে একনজরে প্রথমে একটি বেসিক ব্রিফিং সহ, আলাদা ভাবে টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস রিপোর্ট পাবেন। অর্থাৎ টেকনিক্যাল টার্মে ঐ কারেন্সির পরবর্তী মুভমেন্ট লেভেল গুলোর আগাম গতিবিধি নির্ধারণ করে তার ভেলু গুলো দেওয়া হয়েছে চার্ট এর মাধ্যমে।
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে টাইম অনুসারে নিউজ Cause সহ এর সম্ভব্য ইমপ্যাক্ট ভেলু ফোরকাস্ট করা হয়েছে।
এবং সবশেষে ঐ কারেন্সি সম্পর্কে পরবর্তী ভিবিন্ন নিউজ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা ঐ কারেন্সির পরবর্তী মার্কেট মুভমেন্ট সম্পর্কে আপনাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে।
এই ধরণের আরো অনেক সাইট রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। মূলত কথা হচ্ছে এ রকম কয়েকটি সাইট এর সাথে রেগুলার টাচ রেখে ভিবিন্ন কারেন্সির মুভমেন্ট সম্পর্কে সজাগ থাকলে সফল ভাবে ট্রেড করতে আপনার এর কিছু লাগবে না।

বি.দ্রঃ ইকোনমিক নিউজ ইমপেক্ট > মার্কেট ভলাটিলিটি বৃদ্ধি > ২-৩ মিনিটের মধ্যে হাইস্ট ভলাটিলিটি > এবং পরবর্তী ৫-১০ মিনিটের মধ্যে আস্তে আস্তে কারেকশন

প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব -৫] (ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস:ইকোনমিক ডাটা,গোল্ড এবং অয়েল ফান্ডামেন্টাল ফেক্টর)

ভুমিকাঃ


ফরেক্স মার্কেটের বেসিক টার্ম শেখা শেষে এখন জানা দরকার যে কিভাবে আপনি বুঝবেন মার্কেট এখন আপ এ যাবে কিংবা ডাউন এ যাবে, আন্দাজ বা ধারণা করেও তো আর ট্রেড করা যাবে না। তাই যদি হত তাহলে এত শিখারই বা কি দরকার। অর্থাৎ আমি বোঝাতে চাইছি আপনি কোন ট্রেড ওপেন করার আগে তার একটি ভালো ইফেক্টিভ বিশ্লেষণ করে নিতে হবে যেন আপনার অর্ডারটি পজেটিভ হয়। আর ফরেক্স মার্কেটে আপনি যত ভালো ট্রেন্ড বিশ্লেষক হতে পারবেন ততই ভালো প্রফিট করে নিতে পারবেন বা লসে পড়বেন না। আপনার প্রত্যেকটি অর্ডার আর পেছনে একটি ভালো গবেষণা থাকতে হবে। তখনই আপনি একজন ভালো ট্রেডার হতে পারবেন। যা হোক আর কথা না বাড়াচ্ছি না। ফরেক্স মার্কেটে মুলত এনালাইসিস এর জন্য অনেক পদ্ধতি আছে। আমরা একে একে পদ্ধতি গুলো আলোচনা করবো।
ফরক্সে ২ ধরণের এনালাইসিস এর মাধ্যমে আপনি ট্রেডিং শুরু করতে পারেন।
১। ফান্ডামেন্টাল  এনালাইসিস
২। টেকনিক্যাল এনালাইসিস
ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিকেল এনালাইসিস এর মধ্যকার পার্থক্যটা খুব সিম্পল। ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসে প্রাইস যদি কোন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট একটি ডিরেকশনে যায় তখন টেকনিকেল এনালাইসিস বলতে পারে ঐ প্রাইস এর ফাইনাল বা পরবর্তী মুভ কি হতে পারে। অনেকে প্রশ্ন করে যে কোন এনালাইসিসে ট্রেড করবো। বিষয়টিকে আলাদা না করে বরং দুটি মেথডকে একসাথে অর্থাৎ কম্বিনেশন করে ট্রেড করুন তাহলে আপনার ট্রেড হবে অনেক শক্তিশালী।

ফান্ডামেন্টাল  এনালাইসিসঃ

ফান্ডামেন্টাল  এনালাইসিসঃ

এককথায় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণে ভবিষ্যৎ কারেন্সি প্রাইস ভেলু  নির্ধারণ বা অনুধাবন করার একটি পক্রিয়া। আরো সহজ করে বলা যেতে পারে, কোন একটি দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ঐ দেশের কারেন্সি ভেলুর যে পরিবর্তন ঘটে এবং তা বিশ্লেষণ বা বের করার যে একটি উপায় তা-ই হল ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস।
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের  মুল মন্ত্র হল ভালো অর্থনীতিতে কারেন্সি ভেলু বাড়বে এবং খারাপ অর্থনীতিতে ভেলু কমবে, যেমনঃ ইন্টারেস্ট রেইট, এমপ্লয়মেন্ট সিচুয়েশন, ট্রেড ব্যালেন্স, বাজেট, ট্রেজারি বাজেট এবং গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট ইত্যাদির ভিবিন্ন প্রভাবই হল ভিবিন্ন ধরনের ফান্ডামেন্টাল ইস্যু। আরো যেসব বিষয় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসেসের আওতায় পড়ে সেগুলো হলঃ
১। গভমেন্ট ক্রাইসিস।
২। সরকার বা মন্ত্রী পরিষদের বড় কোন পরিবর্তন।
৩। দেশের অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশনায়।
৪। আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব।
৫। ইলেকশন পূর্ববর্তী সময়।
৬। প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের  জন্য খুব বেশি সন্দিহানে না থেকে দু-তিনটি বিষয় ব্যাবহার এবং বিবেচনায় আপনি সহজে এই এনালাইসিস করে পারেন। সেগুলো হলঃ

ইকোনমিক ডাটাঃ

আসুন এইবার পরিচিত হই কিছু ইকোনমিক ডাটা লিস্ট এর সাথে যেসব ডাটা রিপোর্ট পাবলিশে মার্কেটের উপর ভিবিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এবং রেগুলার নিউজ ট্রেডিং এ এই ধরনের রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করে আপনি মার্কেট অস্থিতিশীলতা বা মার্কেট ভলাটিলিটি বুঝে রিস্ক ফ্রী ট্রেড করতে পারবেন। আরেকবার বলে নেয় ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল দেশের বিভিন্ন অবস্থা প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে এর ইমপ্যাক্ট কেমন হতে পারে তার একটি পক্রিয়া। তাই আপনার কাছে যত বেশি ইকোনমিক ডাটা থাকবে মার্কেটের গতিবিধি সম্পর্কে আপনি ততই প্রস্তুত থাকবেন। এই মুহূর্তে সবগুলো ডাটা হয়ত অপ্রয়োজনীয় লাগতে পারে তবে রেগুলার বেসিসে যদি সব গুলো মাথায় রাখতে পারেন তাহলে এর উপকারিতে আপনি নিজেয় টের পাবেন।
১। Industrial production (world):  এই রিপোর্টটি প্রকাশে বোঝা যায় একটি দেশে নির্দিষ্ট সময়ে ফ্যাক্টরি প্রোডাকশন, মাইন প্রোডাকশন এবং ইউটিলিটি কেমন হয়েছে। কারন প্রডাকশন এর উপরও ইকোনমিক গ্রোথ ডিপেন্ড করে, আর ইকোনমিক গ্রোথ ভালো হলে বুঝতেই পারছেন তা কারেন্সিকে হিট করে।
২। Producer price index(PPI): এটি একটি ইন্ডিকেটর যা প্রডিউসারদের গুডস স্টক লেভেল নির্দেশ করে। প্রডিউসারদের কাছে গুডস এর প্রাইস ঊর্ধ্বগতি অর্থাৎ কনসুমারদের চাহিদা বৃদ্ধির কারনে ঐ সব পণ্যর সেলিং ইন্টারেস্ট রেইট বৃদ্ধি পাওয়ার একটা আশংকা থাকে যা ফরেক্স মার্কেটে কমোডিটি যেমন, গ্যাস, ওয়েল এবং গোল্ড সহ বিভিন্ন কমোডিটি প্রোডাক্টের রেইট এর পরিবর্তন করে।
৩। Productivity (world): এটি নির্দেশ করে যে ইনপুট এর তুলনায় প্রোডিউসড প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রেইট কেমন। যদি প্রোডিউসড ভালো হয় তারমানে ঐ প্রোডাক্ট এর গ্রোথ ভালো এবং তা মার্কেটে বড় কোন তারতম্য না তৈরি করেই মুভ করবে।
৪। Business inventories (world): এই রিপোর্টটির মাধ্যমে বোঝা যায় যে নির্দিষ্ট একটি সময়ে কি পরিমান প্রোডাক্ট প্রোডিউসড হয়েছে, কি পরিমান সেল হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ বিক্রির জন্য কি পরিমান আছে ।  অর্থাৎ মার্কেট চাহিদা বোঝা যায় এবং তার উপর ভিত্তি করে রেইট উঠানামার হার পরিবর্তন হয়।
৫। Durable goods (US): এই রিপোর্টটি মার্কেটে প্রোডাক্টের মেয়াদকাল তথা স্থায়িত্ব নির্দেশ করে, শেষ তিন-বছরের জরিপে মোট বিক্রয় হার কেমন ছিল। অর্থাৎ এটি নির্দিষ্ট একটি সময়ে প্রোডাক্ট প্রবৃত্তি এবং কনসুমার কনফিডেন্স এর রেকর্ড নির্ধারণ করে দেয় যাতে করে পরবর্তী সেল রেইট বা মার্কেট রেসপন্স বোঝা যায়।
৬। Jobless claims (US):এটি সাপ্তাহিক মোট বেকারত্তের হার নির্ধারণ রিপোর্ট করে। যে নিউজটি প্রতি বৃহস্পতি রিলিস হয়।
৭। Leading economic indicator index (world): জাপান এর অর্থনীতিতে সেবা খাতের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করে।
৮। TIC Data (US): মার্কিন সম্পত্তির পরিমান এবং মার্কিন বিদেশী গোষ্ঠীর পরিমান নির্ধারণ করে।
৯। G7 meeting (world): এটি একটি মিটিং রিপোর্ট যা বিশ্বের ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি যেমন কারেন্সি ইস্যু সহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অর্থনীতি সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
১০। Oil prices (world) এই রিপোর্টটিতে ইউ.এস কারেন্সির সাথে নেগেটিভ কো-রিলেটেশন সম্পর্কিত কারেন্সি গুলোর তথ্য প্রকাশ করা হয়। যেমন ফরেক্স মার্কেটে অয়েল প্রাইস মুভমেন্ট আপ হলে ইউ.এস.ডি’র মুভমেন্ট ডাউন হয়।
উপরোক্ত ইকোনমিক ডাটা গুলো রিলিসে মার্কেট প্রাইস আর তারতম্য ঘটে কারেন্সি ভেদে, ফরেক্স মার্কেটের সেন্টিমেন্টাল বুঝে ট্রেড করার জন্য এই ডাটা রিপোর্ট গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
 
গোল্ড এবং অয়েল ফান্ডামেন্টাল ফেক্টরঃ

ফরেক্স মার্কেটে গোল্ড এবং অয়েল এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কারন এই দুটি কমোডিটিস ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নেতৃস্থানীয় নির্দেশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
 গোল্ডঃ

নিচের চিত্রটি দেখুন…


বিভিন্ন দেশের মাইন প্রোডাকশনে ২০১১ সালের জরিপে এককভাবে চীন এগিয়ে আছে এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং তৃতীয় হচ্ছে ইউ.এস। এভাবে বিভিন্ন বছর বিভিন্ন দেশের প্রোডাকশন সেই দেশের কারেন্সিকে হিট করে। লক্ষ্য করবেন, বেশিরভাগ সময়ে ইউ.এস GOLD এর বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ থাকা সত্ত্বেও  GOLD এর সাথে USD এর বিপরীত সম্পর্ক থাকে। এর পেছনে মুল কারন হচ্ছে GOLD’র প্রাইস সবসময় USD’র বিপক্ষে নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া আরো আকটি কারন হচ্ছে মাঝে মাঝে ইনভেস্টররা তাদের কেপিটেল কে USD থেকে GOLD এ স্থানান্তর করে রাখতে বেশি সেইপ মনে করে।
 অয়েলঃ

সাধারণভাবে আমরা জানি অয়েল/তেল এর মূল্য বৃদ্ধিতে বিশেষ করে ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট বেড়ে যায়। সাথে সাথে ফিনিশড প্রোডাক্ট যেমন ইউটিলিটি এবং হিটিং কস্ট ও বাড়ে। যার প্রভাব বিশেষ করে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও অন্যান্য উন্নত দেশের উপর পড়ে। কিন্তু ব্যতিক্রম হল কানাডা যা বিশের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল মজুদকারী দেশ এবং নিট অয়েল রপ্তানিকারক যার কারনে অয়েল প্রাইস এর সাথে কানাডিয়ান ডলারের একটি ইতিবাচক সম্পর্ক দেখা যায় যা অনন্য উন্নত দেশের মধ্যে দেখা যায় না।

 

প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব - ৪] (মার্জিন, রোলওভার, অর্ডার টাইপ, প্রফিট/লস,ডেমো ট্রেড)

তাড়াহুড়ো করার কোন দরকার নাই, আস্তে আস্তে প্রসিড হোন, একটু সময় নিয়েই এগুতে থাকুন আপনি অবশ্যই ভালো করবেন, কারন তাড়াহুড়ো কিংবা অতি মাত্রার উৎসাহ আপনার খতির মূল কারন হতে পারে। তাই বারবারই একটা কথার উপর বেশি বেশি নজর দিচ্ছি, তা হল প্রথমে শিখুন, শিখুন এবং শিখুন !  আর প্রশ্ন করতে চাইলে কিংবা যদি ট্রেডারদের সাথে আপনার কোন সমস্যা বিষয়ক আলোচনা করে সমাধান নিতে চান তাহলে bdforexpro.com এ নিবন্ধন হয়ে আপনার আলোচনা শুরু করুন।
লিভারেজঃ বা মার্জিন

এর সহজ অর্থ হল লোন। আপনার মূলধন এর উপর কত গুন লোন আপনি ব্রোকার থেকে পাবেন ট্রেড করার জন্য । অর্থাৎ আপনার ছোট এমাউন্ট দিয়ে বড় পরিসরে ট্রেড করতে পারার সূবিধাই হল লিভারেজ। লিভারেজ ব্রোকার দ্বারা নির্দিষ্ট করা থাকে এবং একেক ব্রোকার একেক অনুপাতে লিভারেজ প্রদান করে থাকে।
লিভারেজ এর কমন অনুপাতগুলো হলঃ
১:১
১:২
১:১০
১:২০
১:৫০
১:১০০ থেকে ১:১০০০।
এই অনুপাতের বাম অংশটি হল আপনার মূলধন এবং ডান অংশটি হল আপনার লিভারেজ।
এখন আপনি যদি ১০০ ডলার দিয়ে ট্রেড শুরু করেন এবং ১:৫০০ লিভারেজ নেন তাহলে $১০০X৫০০= $৫০০০০ পরিমান ট্রেড করার সামর্থ্য বা ক্ষমতা আপনার চলে আসবে $১০০ দিয়ে।
ফরেক্স মার্কেটে লিভারেজ এর ব্যাবহার যেমন আপনার জন্য সুবিধাদায়ক তেমনি ক্ষতিকারকও। আপনি $১০০ একাউন্টেতো ৫০০ লিভারেজ দিয়ে যেমন ৫০০ গুন লাভ এর চিন্তা করলেন তেমনি এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে ট্রেড যদি আপনার প্রতিকুলে যায় তাহলে সেই পরিমান লস ও আপনাকে বহন করতে হবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন আপনার তো ৫০০ গুন লস হওয়ার মত মূলধন নেই। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন , ট্রেড আপনার প্রতিকুলে গিয়ে যখনই আপনার মূলধন পরিমান লস স্পর্শ করবে তখনি আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। এইবার আপনার লিভারেজ যাই থাকুক না কেন।
তাই ট্রেড করার পূর্বে চিন্তা করে নিন আপনার মূলধন কত এবং সেই অনুপাতে কত লিভারেজ নিলে আপনি নিরাপদে ট্রেড চালিয়ে যেতে পারবেন। (উল্লেখ্য এই বিষয়টি বোঝার জন্য আপনাকে মানি ম্যানেজমেন্ট লেসনটি পড়তে হবে)।
রোলওভারঃ

হল কোন একটা পজিশন (অর্ডার) এর একদিনের বেশি মেয়াদকালে পরবর্তী সময়ের প্রাপ্ত বা পদত্ত লাভ। ফরেক্স মার্কেটে প্রতিটি মুদ্রা একটি নির্দিষ্ট ইন্টারেস্ট হারের সাথে সম্পৃক্ত থাকে। আপনার ট্রেড গুলো শুধুমাত্র দুটি কারেন্সির মাধ্যমেই ঘটে না বরঞ্চ এর ভেতর দুটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারেস্ট রেইট ও কাজ করে। এই ইন্টারেস্ট রেইটে আপনাকে ইন্টারেস্ট দেওয়া বা নেওয়া হবে (১ বছর) ৩৬৫ দিন হিসেবে আপনার ট্রেডটি যতদিন রোলভার হবে ততদিনের জন্য।
বায় রোলওভারঃ
আপনি ইন্টারেস্ট লাভ করবেন যদি আপনি হায়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি ক্রয় করেন। আর আপনাকে ইন্টারেস্ট দিতে হবে যদি আপনি লাওয়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি ক্রয় করেন।
সেল রোলওভারঃ
আপনি ইন্টারেস্ট লাভ করবেন যদি আপনি হায়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি বিক্রয়  করেন। আর আপনাকে ইন্টারেস্ট দিতে হবে যদি আপনি লাওয়ার ইন্টেরেস্ট রেইট এর কারেন্সি বিক্রয় করেন।
উদহারনঃ যখন আপনি EUR/USD কারেন্সি পেয়ার এ USD এর বিনিময়ে EUR বায় করেন । EUR এর ইন্টারেস্ট রেইট যদি 4.00% হয় এবং USD এর ইন্টারেস্ট রেইট যদি 2.25% হয় তাহলে আপনি হাই ইন্টারেস্ট রেইট এ বায় করার মাধ্যমে ইন্টারেস্ট পাচ্ছেন।
ঠিক একইভাবে আপনি যখন EUR  সেল করছেন তখন হাই ইন্টারেস্ট রেইট  এ সেল এর কারনে আপনাকে ইন্টারেস্ট দিতে হবে বাৎসরিক হারে যতদিন রোলওভার করবেন ততদিনের জন্য।
অর্ডার টাইপঃ

ফরক্সে যত আলোচনা বা যত শিক্ষা সবই কিন্তু ট্রেড করে প্রফিট এর উদ্দেশে। আর এই ট্রেড মানে হল বায় অর্ডার অথবা সেল অর্ডার। ফরেক্স মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয় এর ক্ষেত্রে বায় অর্ডার এবং সেল অর্ডার কথাগুলো বেশি রিলেভেন্ট। আমরা কখনও বায় অর্ডার করব কখনও বা সেল অর্ডার করব এটাইতো আমাদের মূল কাজ। আসুন এইবার জেনে নেয় এই অর্ডার গুলো আসলে কিভাবে কাজ করেঃ
ফরক্সে অর্ডার বলতে বোঝায় আপনি কখন ট্রেডে ডুকবেন এবং কখন ট্রেড থেকে বের হবেন। কত প্রফিট করবেন এবং কতটুকু লস মেনে নিবেন ইত্যাদি ।

উপরের কারেন্সি পেয়ারটি খেয়াল করুন,
EUR সেল/বিড = 1.4502 এবং USD বায়/আস্ক  = 1.4505
ফরেক্স মার্কেটে প্রত্যেকটি অর্ডার এর মানে হল তার বিপরীত আরেকটি ট্রেড সয়ংক্রিয়ভাবে ঘটা। যা আপনার পরিলক্ষিত হবে না। এটাই ফরেক্স এর সিস্টেম । আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি যে আপনি বায় এবং সেল এর মাধ্যমে মুলত একটি কারেন্সি দিয়ে আরেকটি কারেন্সিই সবসময় এক্সচেঞ্জ/বিনিময় করছেন। যেখানে আপনি এবং ব্রোকার দুটি পক্ষ।
বিডঃ হল বায়ার পয়েন্ট অব ভিউ এবং সেল হল আপনার (ট্রেডারের পয়েন্ট অব ভিউ ) অর্থাৎ বায়ার এই রেইটে বায় করতে রাজি আছে আপনি চাইলে এই রেইটে সেল করতে পারবেন।
আস্কঃ আবার আস্ক হল বায়ার পয়েন্ট অব ভিউ এবং বায় হল আপনার (ট্রেডারের পয়েন্ট অব ভিউ ) অর্থাৎ বায়ার এই রেইটে সেল করতে রাজি আছে আপনি চাইলে এই রেইটে বায় করতে পারবেন।
 বায় অর্ডার প্রফিটঃ  

আপনি যখন বায় অর্ডার দেন তারমানে হল কৌওট কারেন্সি সেল করে বেস কারেন্সি ক্রয় করছেন। বিষয়টি নিপুনভাবেই ঘটবে। উপরের কারেন্সি পেয়ারটি মতে, আপনি বায় অর্ডার দিয়েছেন অর্থাৎ, ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য আপনি ১.৪৫০৫ পরিমান কৌওট কারেন্সি (ডলার) দিচ্ছেন ।
পরবর্তীতে দেখলেন প্রাইস ভেলু বেড়ে ১.৪৬০৫ উঠেছে তখন আপনি ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলেন অর্থাৎ আপনি বেস কারেন্সি সেল করে ঐ পরিমান কৌওট কারেন্সি ক্রয় করছেন। ১ EUR ১.৪৫০৫ ডলারে কিনে ১.৪৬০৫ ডলারে ক্রয়কৃত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলেন এবং ১০০ পিপস প্রফিট করলেন।
 সেল অর্ডার প্রফিটঃ

আপনি যখন সেল অর্ডার দেন তারমানে হল বেস কারেন্সি সেল করে কৌওট কারেন্সি রিসিভ করছেন। এখানেও বিষয়টি নিপুনভাবে ঘটে। ধরি, এই মুহূর্তে EUR/USD মার্কেট প্রাইস ১.৪৫০২ ,আপনি বুঝতে পারলেন আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই প্রাইস আরো কমবে। এখন আপনি লাভ করতে চান, তাহলে EUR/USD সেল মোডে অর্ডার করুন, সেল এর মানে হল আপনি EUR সেল করে USD ক্রয় করছেন, তাহলে ১ EUR সেল করে আপনি পাচ্ছেন ১.৪৫০২ ডলার।
পরবর্তীতে যখন প্রাইস কমে গিয়ে ১.৪৪০২ এ নেমে আসলো তখন আপনি ট্রেড ক্লোজ করে দিন। ট্রেড ক্লোজ করার মানে হল আপনি আপনার ডলারগুলো সেল করে সেই পরিমান EUR কিনে নিলেন। তাহলে পতন হল ১০০ পিপসের অর্থাৎ আপনি  কয়েক ঘন্টা আগে ১ EUR সেল করে পেলেন ১.৪৫০২ ডলার আর এখন সেই ১ EUR কেনার জন্য আপনাকে দিতে হল তারচেয়ে কম ১.৪৪০২ ডলার।
টেইক প্রফিট (TP)/স্টপ লস(SL):  

আপনি যদি কোন ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ না করে আটোমেটিক ভাবে ক্লোজ করতে চান তখন আপনি টেইক প্রফিট বা স্টপ লস  ব্যাবহার করতে পারেন।
মনে করুন আপনি একটি বায় ট্রেড ওপেন করেছেন ১.৩৫০০ এই ট্রেড থেকে যদি আপনি ৫০ পিপস প্রফিট করেন তাহলে আপনাকে ১.৩৫৫০ আসার পর ক্লোজ করতে হবে, এখন এমন অবস্থা যে আপনি ট্রেডের সামনে ও বসে থাকার মত সময় নাই ঠিক তখন আপনাকে ট্রেডটি মডিফাই করে ১.৩৫৫০ তে সেভ করে দিতে হবে, ব্যাস এইবার আপনাকে আর ম্যানুয়ালি ট্রেডটি ক্লোজ করতে হবে না, প্রাইস যখন ই আপনার টার্গেট রেইট টাচ করবে ট্রেডটি ৫০ পিপস প্রফিট নিয়ে নিজে নিজে ক্লোজ হয়ে যাবে।
ঠিক একই ভাবে আপনি চিন্তা করলেন যে আপনার ট্রেডটি যদি লস এ যায় তাহলে ৩০ পিপস লস করে তা অটোমেটিক ক্লোজ হয়ে যাক, সেইক্ষেত্রে ও আপনাকে ট্রেডটি মডিফাই করে আপনার ওপেন রেইট থেকে কমিয়ে অর্থাৎ ১.৩৪৭০ তে সেভ করে দিতে হবে।
আপনার সেল অর্ডার আর ক্ষেত্রে একইভাবে প্রফিট এর জন্য ওপেন প্রাইস এর নিয়ে টেইক প্রফিট সেট করুন এবং ওপেন প্রাইস এর উপরে স্টপ লস সেট করুন।
পেন্ডিং অর্ডারঃ

হল পুরপুরি স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার ট্রেড টি ওপেন সহ টেক প্রফিট, স্টপ লস এবং ক্লোজ সবকিছুই আটোমেটিক ভাবে করা।
বেসিক কনসেপ্ট তো পেয়ে গেলেন আসুন এইবার একটু প্রাকটিকেল ফিল্ড থেকে ঘুরে আসি। এখন দেখাবো কিভাবে একটি ডেমো আকাউন্ট ওপেন করে এতক্ষণ যা শিখলেন তার বাস্তব রুপটা দেখে নেওয়া।
ও বলতে ভুলে গিয়েছি, ডেমো আকাউন্ট হল পুরোপুরি আপনার একটা রিয়েল আকাউন্ট এর সমরুপ পার্থক্যটা হল ডেমো আকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেড করতে পারবেন। আর রিয়েল একাউন্টে আপনাকে রিয়েল মানি দিয়ে ট্রেড করতে হবে।
তবে যারা ফরেক্সে নতুন পা দিয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ভুলেও প্রথম অবস্থাই রিয়েল মানি দিয়ে ট্রেড করতে যাবেন না। ভালো ভাবে বিষয়টি জেনে মিনিমাম ৩ মাসের একটা ভালো অনুশীলন এবং প্রাকটিকেল অভিজ্ঞতা না নিয়ে রিয়েল ট্রেড করবেন না। মোটকথা যতক্ষণ বা যতদিন পর্যন্তও আপনি ডেমো আকাউন্টে এভারেজে প্রফিট রাখতে রাখছেন না ততদিন পর্যন্ত রিয়েল মানি দিয়ে ট্রেড করার দরকার নেই।
ডেমো ট্রেড আর রিয়েল ট্রেড যে ট্রেডই করুন বা কেন আপনার ট্রেডিং ফ্লাটফর্ম বা মেটা ট্রেডার সফটওয়্যার টি লাগবে। মেটা ট্রেডার হল ট্রেডের মূল হাতিয়ার। আপনার সবকিছুই এই সফটওয়্যারের একটা আকাউন্ট আর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এই বার আপনি যে ব্রোকারে ট্রেড করতে চান সেই ব্রোকার এর মেটা ট্রেডার সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। আমি ইনস্টা ট্রেডার সফটওয়ার দিয়ে দেখাচ্ছি ।
ডেমো একাউন্টঃ

মেটা ট্রেডার সফটওয়্যার টি ওপেন করার পর ফাইল মেনু থেকে Open An Account এ ক্লিক করে আপনার personal Details সহ প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন দিন
Next …… Next  দিয়ে আপনার লগইন নেইম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে Finish দিন।
আপনি যে পরিমান ভার্চুয়াল মানি সিলেক্ট করেছেন সেই পরিমান মানি সহ একটি আকাউন্ট তয়রই হয়েছে।
এইবার নতুন কোন ট্রেড ওপেন করতে টুলবার থেকে New Order সিলেক্ট করুন …
দেখবেন নিচের অংশে Order প্যানেল এ আপনার নির্দিষ্ট ট্রেডটি ওপেন হয়েছে , এইবার ট্রেড মডিফাই করতে আপনার ওপেন ট্রেড এর উপর ডাবল ক্লিক করুন ……………
এখানে Type অপশন থেকে Modify Order সেলেক্ট করে টেইক প্রফিট, স্টপ লস সেট করে বড় হলুদ বাটনে ক্লিক করার মাদ্ধমে সেভ করুন।
ম্যানুয়ালি ট্রেড  ক্লোজ করতে ও ট্রেড এর উপর ডাব্ল ক্লিক করে বড় হলুদ বাটনে ক্লোজ ক্লিক করার মাধ্যমে  ট্রেড ক্লোজ করতে পারবেন।
লং : আপনি যদি মনে করেন যে বেস কারেন্সির বর্তমান দাম থেকে আরো বাড়বে তখন আপনি বায় অর্ডার দিতে পারেন অর্থাৎ আপনি কৌওট কারেন্সি বিক্রি করে দিয়ে বেস কারেন্সি ক্রয় করলেন। মানে লং  অর্ডার করলেন। আবার দাম বাড়ার পর বেশি দামে বিক্রি করে প্রফিট করে নিলেন। বায় এর আরেকটি নাম হল লং।  Buy = Long
শর্টঃ ঠিক একইভাবে আপনি যদি বোঝেন বেস কারেন্সির বর্তমান দাম আরো কমে যেতে পারে তখন আপনি সেল অর্ডার দিবেন। অর্থাৎ আপনি বেস কারন্সি বিক্রি করে দিয়ে কৌওট কারেন্সি বায় করলেন। এবং কম দামে বেস কারন্সি ক্রয় করে প্রফিট করে নিলেন। সেল এর আরেকটি নাম হল শর্ট । Sell = Short.
তারমানে দাড়ালো, বায় অর্ডার করে দাম বৃদ্ধিতে আপনি প্রফিট করবেন এবং দাম কমে গেলে আপনি লস করবেন। বিপরীতভাবে সেল অর্ডার করলে দাম কমলে আপনি প্রফিট করবেন এবং দাম বাড়লে আপনি লস করবেন।

প্রফেশনাল ট্রেডিং – [পর্ব - ৩] (কারেন্সি পেয়ার, মেজর/ক্রস, ডিরেক্ট/ইন্ডিরেক্ট, পিপস,লট,স্প্রেড)

কারেন্সিঃ  বেসিক ট্রেডিং কনসেপ্ট

ফরেক্স আপনি যেসব শেয়ার/স্টক ক্রয় করছেন তা মুদ্রায় পূর্ণ নামে ডাকা হয় না, প্রত্যেকটি কারন্সিকে তিনটি রেফারেন্স কোড (ISO Code) এর মাধ্যমে ডাকা হয়। এইক্ষেত্রে প্রথম দু’টি কোড হল ঐ দেশের নামের সংক্ষিপ্ত রুপ এবং ৩য় কোডটি হল ঐ দেশের মুদ্রার/কারেন্সির প্রথম অক্ষর। যেমনঃ United (U) States (S) Dollar (D)  = USD. Great (G) Britain (B) Pound (P)= GBP
ফরেক্স মার্কেটে প্রত্যেকটি কারন্সি এককভাবে না থেকে জোড়ায় জোড়ায় থাকে তার কারন একটির বিপরীতে আরেকটি এক্সচেঞ্জ করার জন্য।
জোড়ার প্রথম কারেন্সিকে Base কারেন্সি এবং দ্বিতীয় কারেন্সিকে Quote/Counter/Ref/Term কারেন্সি বলা হয়।
কারেন্সির ধরন এর উপর ভিত্তি করে এগুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করে হয়েছেঃ
Major কারেন্সিঃ

বলা হয় ঐ সকল কারেন্সি জোড়াকে যেসকল কারেন্সি জোড়ার সাথে USD কারেন্সিটি থাকবে এবং সবচেয়ে বেশি পরিমান ট্রেড হয় যেসকল কারেন্সিতে। মেজর কারেন্সি Base অথবা Quote যেকোন ভাবে থাকতে পারে। যেমনঃ

তবে ৩টি কারেন্সি আছে যেগুলোকে মেজর কমোডিটি (Major Commodity) কারেন্সিও বলা হয়, কারেন্সিগুলো হলঃ
১। USD/CAD
২। AUD/USD
৩। NZD/USD
ক্রস কারেন্সিঃ 

আর যেসকল কারেন্সি পেয়ার এর সাথে USD কারেন্সিটি থাকবে না সেসকল কারেন্সি পেয়ারকে ক্রস কারন্সি বলা হয় এবং এ কারেন্সি গুলোতে ট্রেড এর পরিমান ও মেজর কারেন্সির তুলনায় কিছুটা কম। যেমনঃ

ডিরেক্ট কৌওট (Direct Quote):

আপনি যেদেশের ট্রেডার সেই দেশের কারেন্সি হল আপনার জন্য লোকাল কারেন্সি, হোম বা ডোমেস্টিক কারেন্সি। ডিরেক্ট কৌওটে বেস কারেন্সিই হল লোকাল বা ডমেস্টিক কারেন্সি। এইক্ষেত্রে ১ ইউনিট ফরেন/ইন্টারন্যাশনাল কারেন্সি ক্রয়ের জন্য আপনার কত ইউনিট লোকাল কারেন্সি দরকার তা-ই বোঝায়। যেমন একজন ইউ.এস ট্রেডার যদি কানাডিয়ান ডলারের সাথে ট্রেড করে তাহলে পেয়ারটি হবে USD/CAD. তাহলে ১ ইউনিট কানাডিয়ান ডলারের জন্য ০.৮৫০৫ ইউ.এস ডলারের প্রয়োজন ।
 ডিরেক্ট কৌওট কারেন্সিঃ
- USD/JPY
- USD/CAD
- USD/CHF
 ইন্ডিরেক্ট কৌওট (Indirect Quote):

হল ১ ইউনিট লোকাল কারেন্সি ক্রয়ের জন্য কত ইউনিট ফরেন কারেন্সি দরকার। ইন্ডিরেক্ট কৌওটে ফরেন কারেন্সি হল বেস কারেন্সি। অর্থাৎ CAD/USD হল ইউ.এস ট্রেডারের জন্য ইন্ডিরেক্ট কৌওট তাহলে ১ ইউনিট ইউ.এস ডলারের জন্য ১.১৫০০ ইউনিট কানাডিয়ান ডলার প্রয়োজন।
 ইনডিরেক্ট কৌওট কারেন্সিঃ
- EUR/USD
- GBP/USD
- AUD/USD
 কারেন্সি পেয়ারঃ

একটু আগে বলেছি যে ফরেক্স মার্কেট এ প্রত্যেকটি কারেন্সি জোড়ায় থাকে, আসুন আইবার পরিষ্কার হওয়া যাক কেন ?
আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট এর যেকোন শেয়ার এর মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়, অর্থাৎ যেকোন দেশের শেয়ার এর মূল্য সেদেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হয়। কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে কোন শেয়ার এর মূল্য সেদেশের মুদ্রার বিপরীত নির্ধারিত হয় না । ফরেক্স মার্কেটে এটা সম্ভব নয়। ফরেক্স মার্কেটে একটি মুদ্রার অনেক গুলো দেশভিত্তিক অনেক রকম হবে, যেমন 1 USD ক্রয় করতে হলে বাংলাদেশে বর্তমানে ৮০ টাকা লাগবে, ইউরো দিয়ে ক্রয় করলে প্রায় .৮০ ইউরো লাগবে অথবা ১.১৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার লাগবে । এখন তাহলে বলুন ডলারের মূল্য আসলে কোনটি ? এই জন্য ফরেক্স মার্কেট কারেন্সি পেয়ার এর মাধ্যমে ট্রেড হয়, থাকে যাতে করে যেদেশের মানুষ সে দেশের মুদ্রার মূল্য শেয়ার পেতে পারে।
উধহারন সরুপঃ
যদি EUR/USD = 1.3035 থাকে তাহলে বুঝতে হবে, ১ EUR ক্রয় করতে আপনার 1.3035 USD প্রয়োজন হবে।
যদি USD/JPY = 77.87  থাকে তাহলে বুজতে হবে, ১ USD ক্রয় করতে  আপনার 77.87 JPY প্রয়োজন হবে।
পিপসঃ

পিপস এর বিস্তৃত রপ হল পারসেন্টেজ ইন পয়েন্ট (Percentage in Point) । ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি রেইট এর ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনই হল পিপ। আরো সহজ করে বললে দশমিক এর পরে চতুর্থ সংখ্যার প্রতি একক এর পরিবর্তনই হল পিপ।  অর্থাৎ কোন কারেন্সি রেইট যদি ১.২৫০০ থেকে পরিবর্তন হয়ে ১.২৫১০ এ যায় তাহলে খেয়াল করুন, ১.২৫০০-১.২৫১০ = ১০ পয়েন্ট এর একটি ব্যাবধান ঘটেছে আর এই ১০ পয়েন্টের পরিবর্তনই মানে হলে ১০ পিপস।
উদহারন EUR/USD বর্তমান পাইস 1.3550 কিছুক্ষণ পর তা হল  1.3555
তাহলে কি দাড়াল ? = 1.3550 to 1.3555 = 5 , মানে ৫ পয়েন্টস বা পিপস বৃদ্ধি পেল।
 উদহারন   GBP/CHF বর্তমান পাইস 1.5245 কিছুক্ষণ পর তা হল  1.5240
তাহলে কি দাড়াল ? = 1.5245 to 1.5240 = 5 , মানে ৫ পয়েন্টস বা পিপস কমে গেল।
 পিপেটিঃ

মাইক্রো লট ব্রোকারে ট্রেড করার সময় খেয়াল করবেন সেখানে কারন্সি রেইট এর ক্ষেত্রে দশমিক এর পরে ৫ সংখ্যা পাবেন, এইরূপ ক্ষেত্রে ৫ম সংখাটি হল পেপেটি। কনফিঊসড হওয়ার কোন কারন নাই। পরবর্তী লট আলোচনায় তা পরিষ্কার বুজতে পারবেন।
ছবিটি লক্ষ্য করুন দশমিক এর পড়ে ৫ম ডিজিট হল ফ্রেকশনাল পিপস বা পিপেটিস

লটঃযেমনঃ ১.২৫৫০১ থেকে যদি পরিবর্তন হয়ে ১.২৫৬০১ হয় তাহলে বুজতে হবে ১০০ পিপেটিস পরিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ ১০ পিপস এর পরিবর্তন হয়েছে।

ফরেক্স লট হল আপনার ট্রেডের সাইজ বা আপনার কারেন্সির পরিমান যা দিয়ে আপনি বায় অথবা সেল করবেন। অর্থাৎ আপনি যখন ট্রেড আরম্ভ করবেন তখন আপনার ট্রেড ওপেন এ পিপস ভেলু যে হারে নির্ধারিত হবে তাই লট। ফরেক্স ট্রেড এর সুবিধা অনুযায়ী ৩ ধরনের লট নির্ধারণ করা হয়েছে।
১। স্ট্যান্ডার্ড একাউন্ট             ১ লট   = $১০ প্রতি পিপস
২। মিনি একাউন্ট                 ১ লট   = $১ প্রতি পিপস
৩। মাইক্রো একাউন্ট             ১ লট   = $০.১০ প্রতি পিপস
অর্থাৎ আপনি যদি স্ট্যান্ডার্ড লট সাইজে ট্রেড করেন তাহলে প্রাইস যদি আপনার অনুকুলে ১০ পিপস যায় তাহলে আপনার লাভ হবে ১০X$১০= $১০০। অনুরপ পাইস আপনার প্রতিকুলে ১০পিপস গেলে আপনার লস ও হবে $ ১০০।
মিনি লট এ যদি ট্রেড করেন প্রাইস যদি আপনার অনুকুলে ১০ পিপস যায় তাহলে আপনার লাভ হবে ১০X$১= $১০। অনুরপ পাইস আপনার প্রতিকুলে ১০পিপস গেলে আপনার লস ও হবে $ ১০।
এবং মাইক্রো লট এ যদি ট্রেড করেন প্রাইস যদি আপনার অনুকুলে ১০ পিপস যায় তাহলে আপনার লাভ হবে ১০X$.১০= $১। অনুরপ পাইস আপনার প্রতিকুলে ১০পিপস গেলে আপনার লস ও হবে $ ১।
ব্রোকার ভিত্তিক লট সাইজ এবং পিপস ভেলুঃ
ফরেক্সে যেমন বড় ইনভেস্টর আছে তেমনি আছে ক্ষুদে ইনভেস্টর ও , সকল শ্রেণীর মানুষ তথা যার কাছে যে পরিমান মূলধন আছে ট্রেড করার জন্য সে যাতে সে পরিমান মূলধন দিয়ে নিরাপদে ট্রেড করতে পারে সে জন্য ব্রোকাররা ভিবিন্ন রকম একাউন্ট টাইপ এর মাধ্যমে ট্রেডার জন্য সে সুবিধা নিশ্চিত করেছে। ব্রোকারদের লট সাইজ হিসেবে একাউন্টগুলো হলঃ
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারঃ
 ১          স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০/পিপস
০.১      স্ট্যান্ডার্ড লট = $১/পিপস
০.০১   স্ট্যান্ডার্ড লট = $০.১০/পিপস
 মিনি লট ব্রোকারঃ
 ১        মিনি লট = $১/পিপস
০.১      মিনি লট = $০.১০/পিপস
০.০১   মিনি লট = $০.০১/পিপস
মাইক্রো  লট ব্রোকারঃ
১          মাইক্রো লট = $০.১০/পিপস
০.১      মাইক্রো লট = $০.০১/পিপস
০.০১    মাইক্রো লট = $০.০০১/পিপস
স্প্রেডঃ

বিড এবং আস্ক রেইট এর মধ্যবর্তী পরিবর্তনই হল স্প্রেড। এটি মুলত ব্রোকারের কমিশন বা চার্জ । বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ার এবং ব্রোকার ভেদে স্প্রেড কম-বেশি হতে পারে। তবে কমন কারেন্সি এবং এভারেজ স্প্রেড সাধারণত ২-৩ পিপস এর মধ্যে থাকে।
খেয়াল করবেন আপনি যখন কোন একটা রেইট এ অর্ডার মেইক করেন, দেখবেন সাথে সাথে ৩ (কারন্সি ভেদে কম বেশি ) পিপস মাইনেস এ থাকে।

উদহারনঃ  ধরি আপনি $১ পিপ ভেলু দিয়ে ১.৩৭৫৫ এ একটি বায় অর্ডার করেছেন এখন যদি এই ট্রেড থেকে আপনি $৫ লাভ করতে চান তাহলে আপনার অর্ডার রেইট থেকে ৮ পিপস বেড়ে (৩ পিপস স্প্রেড) ১.৩৭৬৩ তে আসতে হবে। এভাবেই আপনার ট্রেড গুলো সম্পূর্ণ হবে বিভিন্ন কারন্সি ভেদে বিভিন্ন স্প্রেড রেইটে।

প্রফেশনাল ট্রেডিং -[ পর্ব -২ ]-(মূল অংশগ্রহনকারি, মার্কেট ভলিউম, ব্রোকার টাইপ)

মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে দুটি উপদেশ দেই বিশেষ করে নতুনদের জন্য। ধারাবাহিকভাবে বিডি ফরেক্স প্রফেশনাল এর টিউন গুলো শেষ করুন কারন আমি টিউন গুলো এমন ভাবে করব যাতে করে আপনি শেখার ক্ষেত্রে মিসগাইড না হোন অর্থাৎ কোন বিষয় গুলোর পর কোন বিষয় গুলো জানতে হবে, সেটি মাথায় রেখেয় আমি টিউন সাজাবো। পাশাপাশি ভিবিন্ন রকম ফরেক্স রিসোর্স সাইট ভিজিট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন, কারন তাড়াহুড়ো কিংবা অতি মাত্রার উৎসাহ আপনার খতির মূল কারন হতে পারে। তাই বারবারই একটা কথার উপর বেশি বেশি নজর দিচ্ছি, তা হল প্রথমে শিখুন, শিখুন এবং শিখুন !  আর প্রশ্ন করতে চাইলে কিংবা যদি ট্রেডারদের সাথে আপনার কোন সমস্যা বিষয়ক আলোচনা করে সমাধান নিতে চান তাহলে bdforexpro.com এ নিবন্ধন হয়ে আপনার আলোচনা শুরু করুন।কারন যত বেশি রিসোর্স আপনি টাচ রাখবেন তত ভালো ট্রেডার রুপে গড়ে উঠবেন। তাড়াহুড়ো করার কোন দরকার নাই, আস্তে আস্তে প্রসিড হোন, একটু সময় নিয়েই এগুতে থাকুন আপনি অবশ্যই ভালো করবে
ফরেক্স মার্কেটের মূল অংশগ্রহনকারিঃ

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং লেনদেনের সহজলব্ধতার কারনে বিভিন্ন আর্থিক/অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের প্রধান অংশগ্রহণকারীরা হল: ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীরা ও ব্যবসায়ী।  এবং ব্রোকার প্রতিষ্ঠান নানা রকম সুবিধা প্রধান এর মাধ্যমে বেপকভাবে লাভবান।
মার্কেট ভলিউম অনুসারে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকঃ

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় যে সব ব্যাংকের ফরেক্স সম্পৃক্ততাঃ
  1.  The Federal Reserve (US central bank)
  2.  The Bank of Japan
  3.  The Bank of England
  4.  The Bank of Canada
  5.  The Swiss National Bank
  6.  The European Central Bank
  7.  The Reserve Bank of Australia

ব্রোকার টাইপঃ

ব্রোকার কোম্পানিদের মূল উদ্দেশ্য হল ক্রেতা এবং বিক্রেতার সন্নিবেশনে স্প্রেড এর মাধ্যমে কমিশন আয় করা।
ফরেক্সে ২ প্রকার ব্রোকার বিদ্যমানঃ
১। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (Market Maker Broker)
২। নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার (NDD Broker)
ডিলিং ডেস্ক (Market Maker) ব্রোকারঃ
এই প্রকার ব্রোকার Route তথা একটি Way’র মাধ্যমে আপনার ট্রেডটি ওপেন করে, এবং তাদের স্প্রেড সিস্টেম সাধারণভাবে ফিক্সড করা থাকে। ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার মূলত স্প্রেডের মাধ্যমে ইনকাম করে এবং ট্রেডারদের প্রত্যেকটি ট্রেড ওপেন এর বিপরীতে নিজেরা আরেকটি ট্রেড ওপেন করে থাকে। এই ব্রোকারকে Market Maker Broker ও বলা হয়ে থাকে কারন তারা ‘মার্কেট মেইক করে অর্থাৎ যদি কোন ট্রেডার কোন কারেন্সি বায় অর্ডার করে তখন ব্রোকার ঐ কারেন্সির আরেকটি সেল (বিপরীত) অর্ডার করে এবং ট্রেডার যখন সেল অর্ডার করে তখন ব্রোকার তার বিপরীত বা বায় অর্ডারটি করে। এই নিয়মে ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত একটা প্রাইস চেঞ্জ এর মধ্যে থাকে বা ট্রেডাররা বেশিরভাগ সময়ে রিয়েল কৌওটে অর্ডার করতে পারে না। তাই অর্ডার এর ক্ষেত্রে অনেক হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে Re-Quote কথাটি আসে। মূলত এরা হল রিটেইল ব্রোকার আর এই সকল ব্রোকার আমাদেরকে কম ইনভেস্টমেন্টে ট্রেড করার সুবিধা দিচ্ছে বলে ওরাও বিনিময়ে কিছু নিয়ে যাচ্ছে। তবে এইসব ব্রোকাররা সব সময় চেষ্টা করে ট্রেডারদের রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করে দিতে।  এই নিয়মে অর্থাৎ Hedge এর মাধ্যমে ট্রেডার এবং ব্রোকার উভয় সুবিধা লাভ করে থাকে।
চিত্রটি দেখুন আশা করছি বিষয়টা আরো পরিস্কার হয়ে যাবে……

নো-ডিলিং ডেস্ক (NDD) ব্রোকারঃ

এটা সাধারণ নিয়ম যেখানে ব্রোকাররা ট্রেডার এর ট্রেড এর বিপরীতে কোন ট্রেড ওপেন করে না শুধুমাত্র ওপেনকৃত ট্রেড থেকে কমিশন লাভ করে থাকে। তাই এইসকল ব্রোকারের ট্রেড অর্ডারে অতিরিক্ত কোন সময় লাগে না এবং Re-Quote করতে হয় না ট্রেডার রিয়েল কৌওটে অর্ডার মেইক করতে পারে। অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগছে তাহলে আমরা NDD ব্রোকারে কেন ট্রেড করি না। আসলে NDD ব্রোকারগুলোর ট্রেডিং ইনভেস্টমেন্ট মোটামুটি হাই থাকে যার কারনে আমাদের মত লো-ইনভেস্টমেন্ট যাদের তারা ডিলিং ডেস্ক ব্রোকার ছাড়া কিছু চিন্তা করি না। তবে বিষয়টাতে খুব চিন্তার কিছু নাই কারন আপনি ভালো ট্রেডার হয়ে গেলে এই সব পার্থক্য আপনাকে খুব একটা ভাবাবে না।
নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের মধ্যে আবার ২ ধরণের ব্রোকার আছেঃ
 ১। Electronic Communications Network(ECN)

২। Straight Through Processing (STP)
 ECN: নো-ডিলিং ডেস্ক ব্রোকারের একটি টাইপ হল ECN ব্রোকার। আসলে ট্রেডিং মেকানিসম এর পার্থক্যর কারনে এইসব ব্রোকারের সৃষ্টি, এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ডিরেক্টলি ক্লায়েন্ট টু ক্লায়েন্ট রিস্পন্স কনসেপ্টে।
STP: আর এই প্রকার ব্রোকার অর্ডার মেইক করে ইন্টারব্যাংক প্রাইস আক্সিস্টিং লেভেলের মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্ট টু ব্যাংক তথা লিকুডিটি প্রোভাইডারদের মাধ্যমে।  

প্রফেশনাল ট্রেডিং – (পর্ব -১

হিসেবে নিয়েছেন কেউ পার্টটাইম কেউবা ফুলটাইম পেশা হিসেবে। মূলত ফরেক্সও একধরনের আউটসোরসিং বিজনেস। যেখানে প্রফিট করতে হয় একটি ভালো এবং সুশিক্ষার মাধ্যমে। না জেনে না বুঝে এই মার্কেটে নেমে পড়া মানে হচ্ছে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।

আশা করি এতক্ষণে কিছুটা আন্দাজ পেয়ে গেছেন যে প্রপার এডুকেশন ছাড়া আপনি এই মার্কেটে নিতান্তই একজন দর্শক। তাই প্লেয়ার মানে ট্রেডার যদি হতে চান তাহলে আগে ভালোভাবে শিখে নিন তারপর শুরু করুন। ভয় কিংবা নেগেটিভ করছি না, কারন অল্প শিখে নেমে পড়ে যখন কোন কিছু বোঝার আগেই সব হারাবেন তখন হয়ত আপসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
ফরেক্স মার্কেটে কি ট্রেড হয় এবং কিভাবে হয়ঃ

এক কথায় অর্থ, মুদ্রা বা কারেন্সি ট্রেড করা হয়।  মুদ্রা ক্রয় এবং অবাধে বিক্রয় এর মার্কেট ফরেক্স। এখানে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনি যে দেশের মুদ্রা ক্রয় করছেন এবং যে পরিমান ক্রয় করছেন মুলত সেই দেশের অর্থনীতির কিছু শেয়ার ক্রয় করছেন। ধরুনঃ কোন দেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে বলে আপনি তাদের কিছু শেয়ার ক্রয় করলেন এবং আপনি তা বিক্রয় করে দিবেন যখন আপনার ক্রয়কৃত শেয়ারগুলোর দাম বৃদ্ধি পাবে। মূলত এটায় আপনার কাজ হবে ফরেক্স মার্কেটে। আমরা জানি প্রত্যেক দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে ঐ দেশের মুদ্রার মান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় । কখনো ইউরো’র বিপরীতে ইউ.এস.ডি শক্তিশালী হচ্ছে আবার কখনো ইউ.এস.ডি’র বিপরীতে ইউরো শক্তিশালী হচ্ছে, এইরকম সব দেশের মুদ্রা একটি আরেকটির বিপরীতে শক্তিশালী এবং দুর্বল হয়।
অর্থাৎ পেয়ারের একটি মুদ্রার দাম বাড়লে অপরটির দাম কমে। তাই দাম বাড়লেও আপনি প্রফিট করতে পারবেন আবার দাম কমলেও আপনি প্রফিট করতে পারবেন, আর ফরেক্সের এই সুবিধাটিই হল অনন্য সব ব্যাবসা থেকে আলাদা। যা ফরেক্সকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলছে। অন্যান্য বাজারে আপনার ক্রয়কৃত পণ্যর দাম যদি কমে যায় তাহলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হয় দাম বাড়ার জন্য, বিষয়টি ঠিক আছে যেখানে দাম কমলে আপনার আর লাভ করার সুযোগ থাকে না, অথবা আপনাকে অপেক্ষা করতে হয় কখন দাম কমবে যখন আপনি কম দামে ক্রয় করে তা বেশি দামে বিক্রি করবেন, ট্র্যাডিশনাল মার্কেটে ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করে কখন দাম সর্বনিম্ন পড়বে যাতেকরে তারা কম দামে কিনে বেশি দামে সেল করতে পারে কিংবা দাম সর্বচ্চ বাড়ার পর অপেক্ষা করে দাম কমার। কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে দাম সর্বচ্চ বা সর্বনিম্ন এই কনসেপ্ট কোন ভিত্তি নেই। কারন মুদ্রার অবস্থা অনুসারে তা সর্বনিম্ন কি পরিমান কমবে বা সর্বচ্চ কি পরিমান বাড়বে এর কোন পরিধি নেই। এই বাজারের মজার বিষয়টি হল দাম কমলে ও আপনি প্রফিট করতে পারবেন এবং দাম বাড়লেও পারবেন।
ফরেক্স মার্কেটের সুচনাঃ

ফরেক্স মার্কেট সাধারণ কোন মার্কেটের মত একদিনে তৈরি হয়নি। বরং একটি ধারাবাহিক যুগ-যুগান্তরি অনেকগুলো ইভেন্ট এর ফলাফল আজকের এই ফরেক্স মার্কেট। এটির সূচনা হয় ১৯৭১ সালের Bretton Woods চুক্তির পরিক্ষিপ্ততায়। এবং পুরপুরি স্বতন্ত্রতা লাভ করে যখন ১৯৯৭ সালে অনলাইন ট্রেডিং ক্ষমতা সহ ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য মার্জিন ট্রেডিং সুবিধা সহ নানা রকম বহুমুখী সুবিধার ব্যাবস্থা করা হয়। বর্তমানে ফরেক্স মার্কেট হল বিশের সবচেয়ে তারল্য অর্থনৈতিক বাজার।
 ট্রেডগুলো কোথায় ঘটেঃ

অনন্য আর্থিক বাজার থেকে এই বাজার ভিন্ন কারন এই বাজারের কোন শারীরিক অবস্থান নেই। যেখানে সমস্ত লেনদেন ব্যাংক, বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, ইত্যাদির মধ্যে টেলিযোগাযোগ (ফোন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ইত্যাদি) মাধ্যমে পরিচালিত হয় । এটিকে কাউন্টার বাজার (Over The Counter) বা OTC বলা হয়।
ফরেক্স মার্কেটের সুবিধাঃ

অনন্য আর্থিক বাজার থেকে এই বাজারের কিছু বহুমুখী সুবিধা আছে ।
১। ফরেক্স মার্কেট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুদ্রা বাজার, এই বাজারে মুদ্রার দাম ভিবিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত নিজেই পরিবর্তন হয়। এই বাজারের মুদ্রার দামের উপর নির্ভর করে পৃথিবীর সব দেশের ব্যাংক সহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুদ্রার দাম।
২। একক কারো প্রতিনিধিত্ব এই বাজারে কোন রুপ প্রতিফলন তৈরি করতে পারে না। স্বয়ং বিল গেটস এর পুরো অর্থের সামর্থ্য নাই এই বাজারকে পরিবর্তন করার।
৩। দামের ঊর্ধ্বগতি বা নিম্নগতি উভয় গতিতে প্রফিট করা যায়।
৪। এখানে মধ্য কোন স্বত্বাধিকারী নেই তাই আপনি সরাসরি কেনা-বেচা করতে পারবেন।
৫। এটি গ্লোবাল মার্কেট তাই আপনি বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে আপনার ট্রেড পরিচালনা করতে পারবেন।
৬। এটি একমাত্র বাজার যা সপ্তাহের সোম থেকে শুক্রুবার ২৪ ঘন্টায় খোলা থাকে চারটি ভিন্ন ভিন্ন সেশন এ । ফলে যে কোন পেশার মানুষ তাদের সুবিধা মত দিনে কিংবা রাতে যে কোন সময়ে ট্রেড করতে পারে। এবং শনি ও রবিবার এই মার্কেটের সকল লেনদেন বন্ধ থাকে বা ছুটি পালন করা হয়।
৭। এই মার্কেট এ আপনি স্বাধীন ইনভেস্টটর অর্থাৎ এই মার্কেটে সর্ব নিম্ন কিংবা সর্বচ্চ কোন ইনভেস্টমেন্ট বাধ্যবাদকতা নেই। ফলে আপনি আপনার সামর্থ্য মত যে কোন পরিমান ইনভেস্ট করে ট্রেড শুরু করতে পারেন।
৮। মূল ট্রেড শুরু করার পূর্বে আপনি ট্রেড করার জন্য প্রস্তুত কিনা সে প্রস্তুতিটা ও আপনি সেরে নিতে পারবেন ডেমো ট্রেড এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল মানি দিয়ে।
৯। এই বাজারে আপনি আপনার সীমিত টাকা দিয়ে বিশাল পরিধিতে ট্রেড করার জন্য লিভারেজ সুবিধা পাবেন।
১০। এটি একটি স্পট ট্রেড বা কন্টিনিয়াস ফ্লো মার্কেট যেখানে আপনাকে কোন শেয়ার ক্রয় করে তা বিক্রির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। অর্থাৎ আপনি মুহূর্তের মধ্যে আপনার ট্রেড সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
১১। আপনার সকল লেনদেন আপনার ব্যাক্তিগত একটি একাউন্ট এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে যেখানে অন্য কারো এক্সেস এর কোন সুযোগ নেই। তাই আপনি ১০০% সিকিউর।
১২। আপনি আপনার ডিপোজিট বা ইউথড্র যে কোন আন্তর্জাতিক বৈধ মাধ্যম ব্যাবহার করে আপনি নিজেই করতে পারেন। কারো যদি আন্তর্জাতিক কোন মাধ্যম না থেকে সেই ক্ষেত্রে ব্রোকারদের পদত্ত ভিবিন্ন অপশনের মাধ্যমে ও সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

৭ জানুয়ারী, ২০১৩

ফরেক্স স্ট্রাটেজী “Happy Couple” নতুন ট্রেডারদের জন্য

ফরেক্স ট্রেড এ স্ট্রেটেজীর শেষ নেই। কোন স্ট্রেটেজীই আপনাকে ১০০% সাফল্য এনে দিতে পারবে না। তারপরও কিছু সহজ স্ট্রেটেজী শেয়ার করব যাতে নতুন ফরেক্স ট্রেডাররা সহজেই কিছু প্রফিটের দেখা পেতে পারে।
আমি সাধারণত Long Term ট্রেড করি। আজ সেরকমই একটা স্ট্রেটেজী শেয়ার করছি।
  • সর্বপ্রথম ১ঘন্টার টাইমফ্রেমের চার্ট নিন যেকোন পেয়ারের। আমি EURUSD নিয়েছি।
  • এরপর Fisher11.mq4 ইন্ডিকেটরটি সেটআপ করে নিন (C: Program file --> আপনার ব্রোকার এর ফোল্ডার --> Expert --> Indicators).
  • এরপর টেম্পলেট টি সেভ করুন (C: Program file --> আপনার ব্রোকার এর ফোল্ডার --> Tamplates).
  • একটা রেডিমেট টেম্পলেট তৈরি করে দিয়েছি আপনাদের সুবিধার জন্য।
  • ইন্ডিকেটর+রেডি করা টেম্পলেট ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে।
  • নিচের চার্ট বড় করে দেখার জন্য চার্ট এর উপর ক্লিক করুন।
Fisher11 যখন শূন্য লাইন এ থাকবে তখনই মার্কেট থেকে আপনি সিগনাল পাবেন বাই অথবা সেল এর। Fisher11 যখন জিরো লাইন থেকে উপরের দিকে সবুজ চিহ্ন দেওয়া শুরু করবে তখন মার্কেট আপট্রেন্ড অর্থাৎ বাই এ যাবার সম্ভবনা বেশি থাকবে। অপরদিকে Fisher11 যখন লাল চিহ্ন দেওয়া শুরু করবে তখন মার্কেট ডাউন অর্থাৎ সেল এর দিকে যাবার সম্ভবনা বেশি থাকবে।
Buy করবেন তখন যখন:
ধাপ- ১: LED Fisher11 (55) যখন নীচে থেকে ক্রস করবে তখন আমাদের ইন্ডিকেটর Parabolic (0.02,0.2) খেয়াল করবেন Buy এর সিগনালই প্রদান করেছে। চলতি ঘন্টার ক্যান্ডেল ক্লোজ হবার পর পরই আপনি একটি Buy ট্রেড অপেন করতে পারেন। যতক্ষণ Fisher11 সবুজ চিহ্ন প্রদান করবে ততক্ষন Sell দিবেন না। তখন Sell এর সিগনাল পেলে পূর্ববর্তী Buy ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন। নিচের চিত্র লক্ষ্য করুন:
লক্ষ করুন। Parabolic ইন্ডিকেটর এক ঘন্টার ক্যান্ডেল এ সিগনাল প্রদান করেছে এবং Fisher11 নীচে থেকে উপরের দিকে ক্রস করেছে। যদি Parabolic আবার ডাউন সিগনাল দেয় তখন আপনার পূর্বের ট্রেডটি ক্লোজ করে দিবেন। আবার যখন Parabolic আপ এর সিগনাল দেবে এবং Fisher11 যদি জিরো লাইনের উপরে সবুজ চিহ্নে থাকে তাহলে আবার একটা Buy ট্রেড নিতে পারেন।
Sell করবেন তখন যখন:
ধাপ- ২: ঠিক একইভাবে Fisher11 যদি জিরো লাইনের নীচে আসে এবং লাল রংয়ের সিগনাল প্রদান করে তাহলে তখন Sell ট্রেড খুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার যদি কেনা Buy ট্রেড খোলা থাকে তাহলে সেগুলো অতিশীঘ্র ক্লোজ করে নিবেন। নিচের চিত্রটি লক্ষ করুন:

এখন ঠিক Buy সিগনালের উল্টো নিয়ম LED Fisher11 (55) যখন উপর থেকে নীচের দিকে ক্রস করবে। তখন আমাদের ইন্ডিকেটর Parabolic (0.02,0.2) খেয়াল করবেন Sell এর সিগনালই প্রদান করেছে। পরবর্তী ঘন্টার ক্যান্ডেল ক্লোজ হবার পর পরই আপনি একটি Sell ট্রেড অপেন করতে পারেন। যতক্ষণ Fisher11 লালচিহ্ন প্রদান করবে ততক্ষন কোন  Buy দিবেন না। তখন Buy এর সিগনাল পেলে পূর্ববর্তী Sell ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন।
ঠিক একইভাবে Fisher11 যদি জিরো লাইনের  উপরে চলে যায় এবং সবুজ চিহ্ন দেখানো আরম্ভ করে তখন আবার স্টেপ নাম্বার ১ এ চলে যাবেন। তারমানে Buy ট্রেড শুরু করবেন।
এক্ষেত্রে টেক প্রফিট স্টপ লস বসানোর খুব একটা প্রয়োজন নেই। কারন আপনি Parabolic ইন্ডিকেটর এর সিগনাল নিয়ে ট্রেড অপেন এবং ক্লোজ করবেন। তারপরও যদি স্টপ লস টেক প্রফিট বসাতে চান তাহলে সেটা আপনার মানি ম্যানেজমেন্ট অনুযায়ী বসিয়ে নিবেন।
আশা করি ষ্ট্রাটেজিটা ভাল লাগবে। আপনারা ঠিক এই ষ্ট্রেটেজি আপনাদের সুবিধামত পরিবর্তন, পরিবর্ধন করে নিতে পারেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনায় বিদায়।

join fb

Join Me On Facebook
^ Back to Top