‘আসপ্যারগার্স সিন্ড্রোম’ হলো এক ধরণের ‘অটিজম’৷ এই মানসিক ব্যাধিতে
আক্রান্তরা স্বাভাবিক মানুষের মতো একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না৷
তাই একসময় তাঁদেরকে ‘সামাজিকভাবে মৃত’ বলা হতো৷ তবে দিন পাল্টাচ্ছে৷জার্মান
চিকিৎসক হান্স আসপ্যারগার ১৯৪৪ সালে এই মানসিক ব্যাধির কথা বলেছিলেন৷ তাই
এর নাম হয়ে গেছে ‘আসপ্যারগার্স সিন্ড্রোম’৷ জার্মানিতে বর্তমানে প্রায়
আড়াই লক্ষ মানুষ এই ব্যাধিতে আক্রান্ত৷
একটু অন্যরকম হওয়ার কারণে সমাজের আর দশটা সাধারণ মানুষের চোখে তাঁরা
ভিন্ন৷ তাই সহজে কেউ তাঁদের সঙ্গে মিশতে চান না৷ কিন্তু ‘আসপ্যারগার্স
সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্তরা চান বন্ধু বানাতে৷ তাঁরা সামাজিকভাবে একা হয়ে
পড়তে চান না৷এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছেন এমন একজন, যাঁর নিজেরই এই
ব্যাধি আছে৷ তাঁর নাম আলেক্সান্ডার প্লাংক৷ মাত্র নয় বছর বয়সে তাঁর এই
ব্যাধি দেখা দেয়৷ ২০০৪ সালে তিনি ‘রং প্লানেট’ নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করেন৷ যার মাধ্যমে অটিজমে আক্রান্তরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারেন৷
এছাড়া, ২০০৬ সাল থেকে ইউটিউবে অটিজমের উপর কিছু ভিডিও প্রকাশ করেন প্লাংক৷ এই ভিডিওগুলোর মাধ্যমে অটিস্টিক মানুষদের সামাজিক কিছু নিয়মকানুন শেখানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে৷প্লাংকের ‘রং প্লানেট’ ফোরামের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার৷ তবে ২০০৬ সালের একটি ঘটনা প্লাংককে বিপদে ফেলে দিয়েছিল৷
সেসময় এই ফোরামের সদস্য ১৯ বছর বয়সি উইলিয়াম ফ্রয়েন্ড দু’জনকে হত্যা করার পর, নিজেকে খুন করে৷ তার আগে ফ্রয়েন্ড ‘রং প্লানেট’ ফোরামে বার্তা দিয়েছিল এই বলে যে, তার বাস্তব জীবনে বন্ধু প্রয়োজন এবং সে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করছে৷ শোনা যায়, ঐ ঘটনায় ফ্রয়েন্ডের বাবা-মা প্লাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷
সামাজিক যোগাযোগে সমস্যা হলেও, কিছু কিছু ব্যাপারে ‘আসপ্যারগার্স সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মেধা বেশ শক্তিশালী হয়৷ যেমন তাঁদের কোনো কিছু বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বেশ প্রখর হয়ে থাকে, যেটা তথ্য প্রযুক্তি খাতের জন্য প্রয়োজন৷ তাই এবার, ‘আসপ্যারগার্স সিন্ড্রোম’ থাকা ব্যক্তিদের তথ্য প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে জার্মান একটি কোম্পানি৷
এছাড়া, ২০০৬ সাল থেকে ইউটিউবে অটিজমের উপর কিছু ভিডিও প্রকাশ করেন প্লাংক৷ এই ভিডিওগুলোর মাধ্যমে অটিস্টিক মানুষদের সামাজিক কিছু নিয়মকানুন শেখানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে৷প্লাংকের ‘রং প্লানেট’ ফোরামের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার৷ তবে ২০০৬ সালের একটি ঘটনা প্লাংককে বিপদে ফেলে দিয়েছিল৷
সেসময় এই ফোরামের সদস্য ১৯ বছর বয়সি উইলিয়াম ফ্রয়েন্ড দু’জনকে হত্যা করার পর, নিজেকে খুন করে৷ তার আগে ফ্রয়েন্ড ‘রং প্লানেট’ ফোরামে বার্তা দিয়েছিল এই বলে যে, তার বাস্তব জীবনে বন্ধু প্রয়োজন এবং সে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করছে৷ শোনা যায়, ঐ ঘটনায় ফ্রয়েন্ডের বাবা-মা প্লাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷
সামাজিক যোগাযোগে সমস্যা হলেও, কিছু কিছু ব্যাপারে ‘আসপ্যারগার্স সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মেধা বেশ শক্তিশালী হয়৷ যেমন তাঁদের কোনো কিছু বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বেশ প্রখর হয়ে থাকে, যেটা তথ্য প্রযুক্তি খাতের জন্য প্রয়োজন৷ তাই এবার, ‘আসপ্যারগার্স সিন্ড্রোম’ থাকা ব্যক্তিদের তথ্য প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে জার্মান একটি কোম্পানি৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
“প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”