আপেল একটি অত্যন্ত পরিচিত ফল, যা সব যায়গায় পাওয়া যায়| দিনে এক
থেকে দুইটি আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণা থেকে
পাওয়া গেছে যে– দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর LDL Cholesterol কমে|
সেই সাথে আরো পাওয়া গেছে যে, আপেল রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করে
, diabetes হওয়া থেকে রক্ষা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীর কে রক্ষা করে, blood pressure, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে| আপেল শরীরের ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর antioxidant আছে| আপেল muscle tonic, diuretic, laxative, antidiarrheal, antirheumatic, ও stomachic.
, diabetes হওয়া থেকে রক্ষা করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হওয়া থেকে শরীর কে রক্ষা করে, blood pressure, হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে এবং ফুসফুস কে রক্ষা করে| আপেল শরীরের ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এতে অন্যান্য ফলের তুলনায় প্রচুর antioxidant আছে| আপেল muscle tonic, diuretic, laxative, antidiarrheal, antirheumatic, ও stomachic.
কেন আপেলের এত গুনাগুন?
* আপেল প্রথমত: খেতে খুবই সুস্বাদু, সহজে ক্ষুধা নিবারণ করতে এই
ফলের জুড়ি নেই| অন্য ফাস্ট/junk ফুড বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার চেয়ে,
মিষ্টি, কচকচে আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করা অনেক ভালো | কারণ এতে মাত্র
৭০-১০০ ক্যালরি আছে| অফিসে, কাজের ফাকে বা পড়াশুনার ফাকে স্ন্যাকস হিসাবে
একটি আপেল খেয়ে নিতে পারেন|
* এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা হজমের জন্য ভালো| তাই bowel পরিষ্কার রেখে, কোলন ক্যান্সার হতে দেয় না|
* এতে carbohydrate, sugar, folic acid, potassium, calcium, B vitamins, iron, magnesium, ও zinc আছে |
* আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার আছে, যা সহজে তরলে মিশে যায়| এই
ফাইবার অন্ত্র নালিতে cholesterol জমতে দেয় না, এবং শরীর থেকে cholesterol
খরচ করে কমাতে সাহায্য করে| এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে| এটি
ব্লাড প্রেসার ও রক্তের glucose/ sugar নিয়ন্ত্রণ করে | coronary artery
disease ও diabetes এর রোগীরা তাই এটি খেলে উপকার পান |এটি হজমের জন্য
উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরীতে সাহায্য করে | তাই এটি হজম শক্তি বৃধ্ধ্বি করে ও
ঠিক রাখে
* আপেলের খোসায় polyphenols নামক antioxidant আছে, যা কোষকে ধ্বংশ হয়ে দেয় না|
* আপেলে phenols আছে, যা LDL Cholesterol কমায় ও ভালো cholesterol HDL বাড়ায়|
* আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
* আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে
* আপেলে Quercetin আছে, যা একটি flavonoid, এটি বিভিন্ন ধরনের
ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে| এই পুষ্টি উপাদানটি free radical ধ্বংশ
হতে রক্ষা করে| তাছাড়া এটি DNA ধ্বংশ হতেও রক্ষা করে| Free radical ধ্বংশ
হতে রক্ষা করার জন্য, বার্ধক্য জনিত রোগ, যেমন: Alzheimer’s হতেও এটি রক্ষা
করে |
* আপেলে প্রচুর Phytonutrients, যেমন: ভিটামিন A, E ও beta
carotene আছে| এগুলো ও free radical ধ্বংশ হতে, ব্রেইনের অসুখ হতে বাধা
দেয়, ফুসফুস ভালো রাখে ও শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া ভালো রাখে | ফলে শরীর
অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায় , যেমন: হার্টের অসুখ , Diabetes ও Asthma ,
Parkinsonism , Alzheimer’s.
* অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না| ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে পরিমানমত আপেল খেতে পারেন |
* আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই|
* আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে| তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে | তাছাড়া ভিটামিন সি তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে|
* আপেল লিভার ও gall bladder পরিষ্কার রাখে, এর পাথর (gallstones) দূর করে বা ধ্বংশ করে
* আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে|
* জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করেন|
* আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে|
* ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে|
* মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়
* Gastric এর সমস্যা কমায়
* আপেলের রস দাঁতের জন্য ও ভালো| কারণ ব্যাকটেরিয়া এর কারণে
দাঁতের ক্ষয় হয়, আপেলের রস ৮০% পর্যন্ত দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
ধ্বংশ করতে পারে| তাই বলা যায় যে –“an apple a day also keeps the dentist
away”!
সবুজ, সোনালী, লাল, যেকোনো রকম আপেল থেকেই এই উপকারিতাগুলো পাওয়া যায়|
এত ফল থাকতে কি শুধু আপেলেই খাবেন? না, অন্যান্য ফল: যেমন: কমলা,
যে কোনো মৌসুমী ফল, ইত্যাদি তেও অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়| তবে আপেল
সহজ লভ্য ও সারা বছর পাওয়া যায় | তাছাড়া এত পুষ্টি উপাদান এক সাথে শুধু
মাত্র আপেলেই আছে| অন্যান্য ভিটামিন, যেমন ভিটামিন সি যুক্ত ফল (যেমন:
কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকি, আনারস ইত্যাদি) ও রাখুন আপনার প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায়|
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
“প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”