banner

SLIDE BAR

Image Slider By nurmonyitworld.net.ms NUR-MONY IT WORLD ENG.KAMRUL HASAN IFAZ. ''প্রযুক্তিকে ভালবাসুন।প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”

হেডলাইন

WELCOME TO OUR BLOG SITE.IF U LIKE OUR BLOG PLEASE SHEAR UR FRIENDS.Email us to inform about our wrong information. to inform about product price and specification, to inform about new product in the market, to inform that what you want to know?THANKS VISIT OUR BLOGSITE

৭ জানুয়ারী, ২০১৩

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কিছু টিপস!

বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহীম।
গর্ভবর্তী সময়টি একটি  মায়ের ও তার সন্তানের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়টিতেই একটি মেয়েকে সবচাইতে বেশী গুরুত্ব সহকারে যত্ন নেওয়া উচিত। কেননা এই সময়টিতে সামান্য ভুল কিংবা অসাবধানতার কারণে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত বিপদ। যা মায়ের বা সন্তানের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এছাড়াও এই সময় মায়ের খাবারের পুষ্টিগুন সম্পর্কে অনেকটা পরিস্কার ধারণা রাখা উচিত। কারণ গর্ভবতি অবস্থায় মায়ের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয় সন্তানের দৈহিক বিকাশের জন্য। তবে সুখবর হলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকেই বর্তমানে গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে অনেকটা সচেতন। তবে মায়ের পুষ্টিকর খাবার প্রদান, সময় মত চেকআপ, খিচুনী, ভারীকাজ না করা এই সব সচারচর বিষয়। অনেকে মনে করেন উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলোই শুধু মাত্র গর্ভবতী মায়েদের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? না। কেননা এমন অনেক জানা-অজানা বিষয় আছে যা গর্ভবতী মায়ের যত্নের জন্য অনেক জরুরী। আর সে সব জানা-অজানা বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরতেই এই পোষ্টটি করা। আশা করি সবার উপকারে আসবে।

গর্ভবতী মায়ের জন্য কিছু টিপস :

  • গর্ভধারনের পূর্বে মানসিক ভাবে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে নিন।কখনও আপনার এমন যেন মনে না হয়, আপনি গর্ভবতী। কেননা আপনার চিন্তা-ভাবনার প্রভাব গর্ভজাত শিশুর ওপর ভীষণভাবে পড়ে। আর শেষ কবে ঋতুচক্র হয়েছিল তার ওপরও লক্ষ্য রাখুন। নয়তো সন্তানের জন্মের তারিখও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না।
  • একটি শিশুর স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ রূপে মা-বাবার স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। গর্ভবতী অবস্থায় মা যে খাবার গ্রহণ করবে, তার উপর শিশুর বিকাশ ঘটে। তাই খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’, ফাইবার্স, আয়রন, ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাদ্য অবশ্যই থাকার দিতে লক্ষ্য রাখা উচিত। অনেকে মনে করেন : বেশি তেল বা ঘি দিয়ে রান্না খাবার খেলে শিশু স্বাস্থ্যবান হয়। কিন্তু একথা সম্পূর্ণ ভুল। তাই এমন খাবার গ্রহন করা উচিত যা পুষ্টিকর,  যেমন—তাজা ফল, সবুজ সবজি, দুধ, দই ইত্যাদি উপযোগী খাবার। আর অকারণে ওষুধ সেবনের কোনো প্রয়োজন নেই।
  • যদি আপনি অন্য কোনো রকমের ওষুধ সেবন করেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে গর্ভধারণের আগেই ওষুধ সেবন বন্ধ করা। এতে আপনার বডি স্ট্যাটাস নরমাল থাকবে। আর শিশুর কোনো রকমের সমস্যা হবে না।
  • যদি আপনি বা আপনার সঙ্গী (স্বামী) ধূমপায়ী হন তাহলে গর্ভধারণ করার আগেই আপনাদের ধূমপান বন্ধ করুন। কেননা ধূমপান ও ড্রিঙ্কস গর্ভজাত শিশুর পক্ষে হানিকারক হয়। যেসব মহিলা ধূমপান করেন তারা সময়ের আগেই কম ওজনের শিশুর জন্ম দেন এমনকি মৃত শিশুরও জন্ম হতে পারে।
  • যদি আপনি কোনো রাসায়নিক সংস্থা বা এক্সরেসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকেন তাহলে এর বিষজাতীয় ধোঁয়া আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক। এসব স্থান থেকে নিজেকে দূরে রাখা জরুরি।
  • অতিরিক্ত শব্দ বা উচ্চ আওয়াজের গান বাজনা থেকে থাকুন। প্রয়োজনে গাড়ির হর্ণ থেকে রক্ষার জন্য বাড়ির বাহিয়ে কম বের হতে চেষ্টা করুন।
  • শিশুর জন্মের আগে তার সুরক্ষার জন্য ব্লাড টেস্ট অবশ্যই করাবেন। এইচআইভি টেস্ট করানোও জরুরি।
  • গর্ভবতী মহিলার সন্তান জন্মের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের সময় প্রয়োজনীয় রক্তের যোগানের ব্যবস্থা রাখুন। এবং রক্তদানের পূর্বে এইডস (HIV) ভাইরাস অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।
গর্ভবতী মায়ের সুরক্ষার দায়িত্ব একটি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের। সুতরাং আপনার পরিবারে যদি কেউ গর্ভবতী  থাকে তাহলে তার প্রতি অধিক মনোযোগ দিন যাতে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাটি সুস্থ দেহে পৃথিবীর আলো দেখতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

“প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”

join fb

Join Me On Facebook
^ Back to Top