বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহীম।
মাথা ব্যাথা অনেক কষ্টের একটি রোগ। যার হয়
সেই বোঝে এর কত যন্ত্রনা। কিন্তু সাধারণভাবে মানুষ যখন কোন টেনশনে ভোগে তখন
সৃষ্টি হয়। কিন্তু যদি সব সময় এবং দীর্ঘদিন ধরে এটি হতে থাকে তথন এটি
সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ভাবা উচিত। কেননা এটি তখন আর স্বাভাবিক কোন মাথা
ব্যাথা থাকে না। তখন তা পরিণত হয় একটি রোগে। যাকে মাইগ্রেন বা বাংলায়
অর্থ মাথা ব্যাথা বলা হয়ে থাকে।
মাইগ্রেন-এর কারণ :
মূলত মাইগ্রেন কেন হয়ে থাকে তার সঠিক কোন
তথ্য খুজে পাওয়া যায় নি। তবে ধারনা করা হয় : ব্রেনের ভেতরে
রক্তবাহীনালীসমূহ কোনো কারণে সংকুচিত হয়। এটা হলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের
তারতম্যের জন্যই এই প্রচণ্ড ধপ ধপ করে মাথাব্যথা শুরু হয়। বমি না হওয়া
পর্যন্ত এই ব্যথা কমে না। মাইগ্রেন মাথাব্যথা একবার শুরু হলে কয়েক ঘণ্টা
থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত একাধারে চলতে পারে। যার ফলে কাজ কিংবা পড়ালেখায়ও
ক্ষতি হতে পারে।
মাইগ্রেন হওয়ার আগে :
যারা পূর্বে থেকে মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগছেন
তাদের ব্যাথা ওঠার বেশ কিছু পূর্বাভাস অনুভুত হতে পারে। এছাড়া টেনশন,
পরীক্ষা বা চাকরির অত্যন্ত চাপ, মানসিক অশান্তি, বাস বা গাড়িতে অনেকক্ষণ
যাত্রা করা, মহিলাদের বেশিক্ষণ গরমে রান্না ঘরে থাকা, মাসিকের সময় ইত্যাদি
নানাবিধ কারণে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। সাধারণ মাইগ্রেন হলে সাধারণত খুব
বেশি মাথাব্যথা হয় না। বমি ভাব থাকতে পারে। কখনও এক বা দুই সপ্তাহ প্রচণ্ড
মাথাব্যথা থাকে এবং রোগী ব্যথায় ছটফট করেন। আবার অনেক সময় ঘুম থেকে
সকালে উঠেই ব্যথা শুরু হয়।
মাইগ্রেন রোগের চিকিৎসা :
এ রোগের কোন প্রতিকার নেই। যাদের মাইগ্রেন
মাথাব্যথা থাকে, সারাজীবনই কোনো না কোনো সময়ে কোনো না কোনো কারণে এই
মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। মূলত সাধারন মাইগ্রেন এর ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল
খেলেই ব্যাথা অনেকাংশে কমে আসে। যদি মাইগ্রেন বারবার হতে থাকে এবং কাজে
বাধা সৃষ্টি করে, তবে কিছু শক্ত ব্যথানাশক ওষুধ এবং এর সাথে যাতে বারবার
ব্যথা ফিরে না আসে সে জন্য কিছু প্রতিষেধক ওষুধ দেওয়া হয়। এছাড়াও চশমার
পাওয়ারেও অনেকটা উপকার লাভ করা সম্ভব।
তবে একটা কথা রোগ কখনো অবহেলা করবেন না। সেটা
যত ক্ষু্দ্রই হোক না কেন। কেননা ছোট রোগ ভেবে অবহেলা করলে অনেক সময় সেই
রোগটিই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই মাথা ব্যথা হলে অবহেলা না করে
আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
“প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”