banner

SLIDE BAR

Image Slider By nurmonyitworld.net.ms NUR-MONY IT WORLD ENG.KAMRUL HASAN IFAZ. ''প্রযুক্তিকে ভালবাসুন।প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”

হেডলাইন

WELCOME TO OUR BLOG SITE.IF U LIKE OUR BLOG PLEASE SHEAR UR FRIENDS.Email us to inform about our wrong information. to inform about product price and specification, to inform about new product in the market, to inform that what you want to know?THANKS VISIT OUR BLOGSITE

৮ জানুয়ারি, ২০১৩

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যত

ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যদিও আমাদের দেশে এখনও এ বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। আমরাও যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার।

আউটসোর্সিং এবং ওয়েব এপ্লিকেশন

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয়ের যে সকল পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ওয়েবসাইট তৈরির কাজগুলোতে। এর একটা প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ীক উদ্দ্যেশ্যে ইন্টারনেটের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা। কারণ একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান একদিকে যেভাবে তার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, অপরদিকে বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন দেশে অবস্থিত নিজস্ব শাখার সাথে আন্তঃযোগাযোগও সহজে এবং কম খরচে করতে পারে। তাই বর্তমান সময়ে একটি ডেস্কটপ সফটওয়্যার তৈরি করার চাইতে ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করার দিকেই সবার ঝোঁক থাকে।
একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট দুটি বিষয়ের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়, যার একটি হচ্ছে ওয়েবসাইটি কিভাবে কাজ করবে তার নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রোগ্রামিং এবং অপর অংশ হচ্ছে এর বহিরাবরণ বা ডিজাইন। ওয়েবসাইট নির্দেশনা সাধারণত PHP, ASP, Python, Perl, Ruby ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা হয় এবং ডাটাবেইজ হিসেবে MySQL, MS SQL, PostgreSQL ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। অনলাইনে ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং এর কাজই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। যারা কম্পিউটার সায়েন্স বা এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পড়ালেখা করেছে তারা ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং করে থাকে। তবে অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র নিজের চেষ্টায় প্রোগ্রামিং শিখে বর্তমানে বেশ ভাল অবস্থায় আছেন।

ওয়েব প্রোগ্রামিং(ডেভেলপমেন্ট) না ডিজাইন

নিজে নিজে প্রোগ্রামিং শেখাটা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা থেকে শুরু করে তাতে পরিপূর্ণ দক্ষ হতে বছরখানেক সময় লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে ওয়েবসাইট ডিজাইন তুলনামূলকভাবে ততটা সময়সাপেক্ষ নয়, ব্যক্তি ভেদে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। আয়ের দিক থেকে ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং পরই রয়েছে ওয়েবসাইট ডিজাইনের ব্যাপক সম্ভাবনা। ওয়েবসাইট ডিজাইন শেখার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে ইন্টারনেটে এই বিষয়ে যে পরিমাণ টিউটোরিয়াল রয়েছে তা থেকে ঘরে বসে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই ডিজাইনিং শেখা সম্ভব।

আমি মূলত একজন ওয়েবসাইট প্রোগ্রামার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের ডিজাইন বা টেম্পলেট, ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। একটি টেম্পলেটের সাথে প্রোগ্রামিংকে যুক্ত করার জন্য প্রায় সময় ফটোশপের স্লাইসিং টুল নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হয়। সেই সুবাদে ফটোশপ একটু আধটু জানি। যেসব ক্লায়েন্টের কাছ থেকে টেম্পলেট পাওয়া যায় না তাদের সান্ত্বনা দেবার জন্য মাঝে মধ্যে নিজেই টেম্পলেট তৈরি করা শুরু করে দেই। এতে বেশিরভাগ সময় কাজ হয়। তবে সত্যি বলতে কি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর প্রতি আমার এক ধরনের ঝোঁক সবসময় রয়েছে। কাজের চাপে খুব একটা সময় দিতে পারি না, তবে সুযোগ পেলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর সাইটে ঘোরাঘুরি করি।

ডেটা এন্ট্রি থেকে আসুন ওয়েব ডিজাইনে

একটা বিষয় আমি খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের দেশে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য থাকে ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে বেশি মাথা অল্প খাটিয়ে কম কষ্টে আয় করা। প্রকৃতপক্ষে একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যে কতটা কঠিন তা আমার অজানা নয়। এক একটি প্রজেক্টে ১০০ জনের উপর বিড করে। তার উপরে এই ধরনের কাজ খুবই বিরক্তিকর এবং কষ্টের তুলনায় আয় অত্যন্ত কম। সর্বোপরি এধরনের কাজে সৃজনশীলতার ছিঁটেফোটাও নেই।

আমি জানি, অনেকেই বলবেন সবাইতো আর প্রোগ্রামার হতে পারবেন না। একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হবার জন্য কম্পিউটার সায়েন্স বা এই ধরনের বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ বা সময় অনেকেরই থাকবে না। তাহলে একজন নন-টেকনিকাল ব্যক্তি কি একজন প্রোগ্রামারের সমান বা তার চেয়ে বেশি আয় করতে পারবে না? আমি বলব, অবশ্যই পারবেন। কিন্তু আমার মনে হয় ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর বিষয়টা বেশিরভাগ নতুন ফ্রিল্যান্সাররাই খেয়াল করেন না, অথবা সেই বিষয়ে আগ্রহ পান না। তবে শুরুতেই বলে নেই, এই পেশায় প্রথম অবস্থায় যথেষ্ঠ শ্রম দিতে হবে এবং অবশ্যই নতুন কিছু উদ্ভাবন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। এই দুই ক্ষমতা থাকলে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ আপনি ভাল করতে পারবেন। ইন্টারনেটে প্রাপ্ত টিউটোরিয়াল থেকে শিখে আপনি ঘরে বসেই এতে দক্ষ হতে পারবেন।

ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এর চাহিদা কতটুকু তা জানতে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একটু ব্রাউজিং করলেই সহজেই অনুধাবণ করা যায়। উদাহরণসরূপ www.ThemeForest.net ওয়েবসাইটে প্রথম সারির ডিজাইনারদের এক একটা ডিজাইন দুই থেকে তিন হাজার বার বিক্রি হয়। আমি হিসেব করে দেখেছি তিন হাজার বার বিক্রি হলে একটা ডিজাইন থেকে এক বছরে আয় দাড়ায় পঞ্চাশ হাজার ডলারের উপর, যা সত্যি অবিশ্বাস্য। আমার কথা হচ্ছে একটা ডিজাইন থেকে যদি পাঁচশত ডলারও আয় করা যায় সেটিই হবে আমাদের জন্য অভাবণীয়। কারণ একজন দক্ষ ডিজাইনারের এরকম একটা ডিজাইন করতে বড় জোর ২ থেকে ৩ সপ্তাহ লাগবে।

পরিশেষে আমি বলব আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ভাল আয় করতে চাইলে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কোন বিকল্প নেই। তবে পরিপূর্ণ দক্ষ না হয়ে আয়ের চিন্তা না করাই ভাল, এতে আপনার সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই হবে না। কারণ এখানে আপনাকে সমস্ত বিশ্বের সেরাদের সাথে প্রতিযোগীতায় নামতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

“প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”

join fb

Join Me On Facebook
^ Back to Top