বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহিম।
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনারা হয়তবা ভাবছেন এত স্বাস্থ্য নিয়ে কেন
লিখছি। আসলে সত্যি বলতে কোন সফটওয়্যার বা টেক বিষয়ে কোন কিছু লেখার সময় হয়ে
উঠছে না। তাই মুলত সংক্ষিপ্ত করে স্বাস্থ্য বিষয়ে লিখছি। আর তাছাড়া আমার
বিশ্বাস স্বাস্থ্য বিষয়ের লেখা গুলো হয়তবা আপনাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগতে
পারে।
যা
হোক একটু বেশীই বলে ফেললাম। এখন আসল কথাই আসি, কি বলেন? আজ আমি যেটি নিয়ে
লিখছি এটা হচ্ছে, মানব দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যেটির কোন একটু
সমস্যা হলেই আমাদের মানব জীবন বিপদে পড়তে পারে। আর সেটা হচ্ছে হার্ট । যাকে
আবার অনেকে “হৃদপিন্ড” বলে থাকেন। যেটা আমাদের বুকে সব সময় ধুকধুক শব্দ
করে পুরো শরীরে রক্ত পাম্প বা সাপ্লাই করে থাকে। এই হার্ট যখন তার কাজ বন্ধ
করে দেয় তখন তাকে অনেকেই হার্ট অ্যাটাক বলে থাকেন। হার্ট অ্যাটাক নিয়ে
আমাদের মাঝে অনেক ভুল ধারণা আছে। একেক জন একেক ধরণের কথা বলে থাকেন। আমি
এখন সেই সব ভুল ধারণাগুলোর মধ্যে খুবই কমোন তিনটি ভুল ধারণা আপনাদের সামনে
তুলে ধরবো।১. কেউ বলেন, হার্ট অ্যাটাকের সময় হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। এটা ঠিক নয়। হার্ট অ্যাটাকের সময় হৃদযন্ত্র স্পন্দিত হতে থাকে। তবে হার্টের টিস্যুতে বক্ত সরবরাহ রোধ হয়। ফলে মৃত্যু ঘটে টিস্যুর। আর অন্য দিকে হার্ট হঠাৎ করে কাজ করা বন্ধ করে দিলে একে বলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।
২. হার্ট অ্যাটাকে নারীদের চেয়ে পুরুষের মৃত্যু বেশি হয়। এটাও ঠিক নয়। পুরুষের ক্ষেত্রে অবশ্য এটি দেখা দেয় আগে। কিন্তু ঋতুবন্ধের পর নারীরা বেশ কাবু হন হৃদরোগে, মৃত্যু হয়ও এতে। তাই প্রায় সমান বিপর্যয় ঘটে বললেই ঠিক হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ১ নম্বর ঘাতক হলো হৃদরোগ।
৩. হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, এমন সন্দেহ হলে দেরী করা ঠিক নয়। শুয়ে-বসে বা বিশ্রাম নিয়ে সময় কাটানো বোকামি। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকা উচিত।
আশা করি ভুল ধারণা গুলো আপনাদের ভালো ভাবে বোঝাতে পেরেছি। যদি কোন ভুল ক্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
“প্রযুক্তিকে ভালবাসুন, প্রযুক্তির সাথে থাকুন সবসময়, প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিন বিশ্বময়”